1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

হাওরে বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইউএনওসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৬৬ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেবকে প্রধান আসামি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য মো. শওকত আলী।

মামলার আসামিরা হলেন, শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব, শাল্লা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. আবদুল কাইয়ূম, শাল্লার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, উপজেলার দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর শাল্লা উপজেলাধীন ভান্ডাবিল হাওরের উপপ্রকল্পের আওতায় নতুন বৈশাখালী ভাঙ্গা পর্যন্ত ১৪৬ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামতের জন্য ২৭নং পিআইসি তৈরি করা হলে সেখানে ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০১ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ এর নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে জমি যার সেই পাবে পিআইসি, সেই নিয়ম না মেনে শাল্লার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়কে অবৈধভাবে ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিব ও সদস্য করেন।

বাঁধের কাজের ২ কিস্তির টাকা পরিশোধ এবং নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। মামলায় পিআইসি কমিটি দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বাদী হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য মো. শওকত আলী বলেন, শাল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শান্ত, বকুল ও বিপ্লবকে পিআইসি দিয়েছেন। অথচ তাদের বাঁধের পাশে কোনো জমি নেই। তাহলে কোন নীতিমালা মেনে তারা তাদের পিআইসি দিলেন। সরকারের এতগুলো টাকা নিয়ে এভাবে নয়ছয় করার এখতিয়ার কারো নেই। তাই আমি আদালতে মামলা করেছি। ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করি।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার নাগ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews