1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন

গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তরের তিন নির্দেশনা

  • Update Time : রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪০ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। কোথাও ৫৯৫, কোথাও ৬২০ আবার কোথাও ৭০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে ৩ নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

রবিবার খুচরা ও পাইকারী মাংস ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ সব নির্দেশনা দেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি জানান, গরুর মাংসের দাম কমাতে কি কি করণীয় এবং কত দাম নির্ধারণ করা যায় সেটি ঠিক করতে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ডিজি এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের ২টি বড় সংগঠন- বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন আগামী বুধবার নিজেরা বসবেন এবং গরুর মাংসের দাম কমাতে কি কি করণীয় এবং কত দাম নির্ধারণ করা যায় সেটি ঠিক করবেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিদপ্তরের সেটি লিখিতভাবে দেবেন। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে যতটুকু পারা যায় আমি আমার ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। যেটা পারব না সেটি সরকারের সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠাব।

পাশাপাশি গরুর উৎপাদন খরচ ও মাংসে দাম কত হওয়া উচিত সেটি অনুসন্ধান করার জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকেও দায়িত্ব দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন পোল্ট্রি ফিড নিয়ে একটি গবেষণা করছে। গরুর মাংসের মূল্য কত হওয়া উচিত বা এর উৎপাদন খরচ কত সেটি নিয়েও একটি গবেষণা করা দরকার। সেটা করার জন্য ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে আমি অনুরোধ জানব। আমাদের কাছে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই। পাকিস্তান যদি সাড়ে ৪শ টাকায় গরুর মাংস খাওয়াতে পারে, তাহলে আমাদের এখানে কোনোভাবেই সাড় ৭শ থেকে ৮শ টাকা দাম হতে পারে না। যত যুক্তিই দেন। এজন্য গবেষণা হওয়া দরকার। এছাড়া মাংস ক্রয়-বিক্রিতে পাকা রশিদ রাখতে এবং মাংসের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে বিক্রেতাদের নির্দেশনা দেন।

ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, কেউ পাইকারি থেকে ৭শ টাকায় গরুর মাংস কিনে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করবেন। তবে সেজন্য পাকা রশিদ দেখাতে হবে। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা মাংসসহ সব ধরনের পণ্যে এই জায়গায় কারচুপি হয়। তাই বিক্রেতারা যেখান থেকে মাংস কিনেন সেখানকার পাকা রশিদ রাখতে হবে। পাকা রশিদ যদি না থাকে তাহলে তাহলে ধরে নেওয়া হবে এখানে অনিয়ম হচ্ছে। এজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি দোকানে ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য টাঙিয়ে রাখতে হবে।

এর আগে গরুর মাংসের দাম কমাতে কি কি করণীয়, রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিলসহ কয়েকজন মাংস বিক্রেতা কিভাবে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করছে সেই বিষয়ে খুচরা ও পাইকারি মাংস ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি।

তবে এ সময় বেশ কয়েকবার হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। যার করণে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে চলা সেমিনারটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুধু নির্দেশনা দিয়ে শেষ করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসাইন, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মুর্তজা, মহাসচিব রবিউল আলম, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ট্রেজারার মনজুর-ই খোদা, মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন সুপার শপ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews