অনলাইন ডেস্ক : ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক অভিভাবক, শিক্ষক এবং রাজনীতিবিদদেরও তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন দেওয়া উচিত।
নেতারা বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্রদের দাবির প্রতি ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা গুন্ডাতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে মেধা এবং সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
সোমবার ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে তাদের এ সমর্থন জানান
নেতৃবৃন্দ বলেন শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন, তাদের নানা ধরনের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন-অত্যাচার, ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনকে থাকতে না দেওয়া এবং নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররা না, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে ওঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা আরও বলেন, আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে চরদখলের মতো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েট ক্যাম্পাস দখলের পাঁয়তারা করছে। এমন পরিস্থিতিতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে একদলীয় শাসনের অবসান ও গুন্ডাতন্ত্রের করাল গ্রাস থেকে ছাত্র রাজনীতিকে বাঁচাতে এবং মেধার বিকাশ ঘটাতে ১২ দলীয় জোট সোচ্চার থাকবে।
বিবৃতি দাতারা হলেন, মোস্তফা জামাল হায়দার চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি ও জোট প্রধান ১২ দলীয় জোট শাহাদাত হোসেন সেলিম মহাসচিব বাংলাদেশ এলডিপি ও মুখপাত্র ১২ দলীয় জোট, অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ জাতীয় দল, সমন্বয়ক ১২ দলীয় জোট মহিউদ্দিন ইকরাম মহাসচিব জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, রাশেদ প্রধান সহ-সভাপতি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), লায়ন ফারুক রহমান চেয়ারম্যান বাংলাদেশ লেবার পার্টি, শামসুদ্দিন পারভেজ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, মাওলানা আব্দুল করিম মহাসচিব ইসলামী ঐক্যজোট, আবুল কাশেম মহাসচিব বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি।
Leave a Reply