জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমলেও দেশের বাজারে দাম কমানো হয় না। এর কারণ সম্পর্কে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানান, বিশ্ববাজারের দামের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ট্যারিফ কমিশন দাম নির্ধারণ করে দেয়। তবে এজন্য হয়তো একদিন সময় লাগে।
রবিবার বিকালে রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় ‘বাংলাদেশ ও জাপানের পরবর্তী ৫০ বছরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক: বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে জাপান বাংলাদেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেকোন জিনিস ইমপোর্ট করি ওয়ার্ল্ড মার্কেটের প্রাইসের উপর নিভর্র করে আমাদের ট্যারিফ কমিশন প্রাইস ফিক্সডআপ (দাম নির্ধারণ) করে। এই প্রাইস আমরা বাজারে যখন ডিক্লিয়ার (ঘোষণা) করি তখন হয়তো একদিন সময় লাগে। যেমন আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে তেলের দাম কয়েকদিন আগে ১০ টাকা কমিয়ে দিয়েছি। সেটা এখন কমতে শুরু করেছে। যেকোন পণ্যের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যায় সেটা আমাদের দেশে যে ট্যারিফ কমিশন বসে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে কী হওয়া উচিত।’
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘কেমন করে আমরা ব্যবসায় আরও বেশি ইনভেস্টমেন্ট পেতে পারি। কেমন করে আগামী ৫০ বছর তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে। আমাদের সঙ্গে জাপানের একটা লং হিস্ট্রি আছে, জাপান ৩৫ বছর ধরে আমাদের ডেভলপমেন্ট পার্টনার। ’
‘অনেক অনেক বড় প্রোজেক্টে তাদের ইনভেস্টমেন্ট আছে। আগামীতেও তারা অনেক বড় প্রোজেক্টে ইনভেস্ট করতে চায়। তারা বাংলাদেশে আসতে চায় এবং বাংলাদেশের এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনেও আকৃষ্ট তারা। কেমন করে তারা আমাদের ডেভলপমেন্ট পার্টনার হবে আমাদের সঙ্গে তাদের একটা দ্বিপাক্ষীক চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আরও হবে।’
নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় মানের পণ্যের কোনো কোনো সময় কিছু লোকাল সমস্যার কারণে দাম বাড়ে। কিছুদিন আগে যেমন কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ায়। এগুলো লোকাল বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয় কিন্তু আমরা টোটাল মনিটরিং করি। আন্তর্জাতিক মার্কেটের সঙ্গে আমাদের দাম ঠিক থাকে।’
অসাধু ব্যাবসায়ী মজুতদারদের বিরুদ্ধে সংসদে একটা আইন পাশ করা হয়েছে। এসব আইন কার্যকরে কবে সরকার কঠোর হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন আইটেম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেখভাল করে থাকে। যেমন চাল খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখভাল করে থাকে। বিভিন্ন আইটেম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেখে। তবে মজুতদারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন পাশ হয়েছে সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতারাতি সব করে ফেলা সম্ভভ নয়। কারণ আমাদের সেই লোকবল নেই। ভোক্তা অধিকারে যে পরিমান লোকবল দরকার আমরা সেটাও এখনও ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ফলে উন্নয়ন সমৃদ্ধিতে যেভাবে এগিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি।
Leave a Reply