জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: রাজশাহীতে অদৃশ্য ভাইরাসে মারা যাওয়া দুই বোন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জানান, মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাসিয়া (৫) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। তবে অন্য কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কি না সেটা নির্ণয় করা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গাছতলা থেকে কুড়িয়ে আনা বরই খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু সারাদেশে অদৃশ্য এক ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। নিহত দুই শিশুর মধ্যে ছোট বোন মারিশা বুধবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। বড় বোন মাসিয়ার মৃত্যু হয় শনিবার। হঠাৎ করে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর মা-বাবাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুই শিশুর মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসে না অন্য কোনো অজানা ভাইরাসে হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিলেন না স্থানীয় চিকিৎসকরা। এরপর তাদের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
রবিবার আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘নিহত দুই শিশুর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। অন্য কোনো ভাইরাসে হয়েছে কি না, তা জানতে রাজশাহীতে আমাদের একটি টিম গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
গৃহকর্মীর এনে দেওয়া বরই খেয়েছিল তারা। গাছতলা থেকে কুড়িয়ে বরই এনে দিয়েছিলেন গৃহকর্মী।
দুই শিশুর বাবা মঞ্জুর হোসেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তারা ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই ছিলেন। ছোট মেয়ের মৃত্যুর পর গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর বড় মেয়েও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। গত বুধবার সকালে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মাইক্রোবাসে মারা যায়। মৃত্যুর পর মা-বাবা লক্ষ্য করেন, মারিশার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ উঠেছে। ওই দিন রাতেই তাকে দাফন করা হয়। এক দিন পর শুক্রবার বড় মেয়ে মাসিয়ার একই লক্ষণসহ জ্বর আসে। সে-ও ছোট বোনের মতো বমি করছিল আর ঘন ঘন পানি খাচ্ছিল। তারপর বগ মেয়েকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মাসিয়াও মারা যায়।
Leave a Reply