অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দুই মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে এ কথা বলেছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি শহরে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার কথা বলার পর ইরান উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ফার্স জানিয়েছে, এটি শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ঘটেছে। তবে সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ফার্স।
ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক সাইট রয়েছে।
শনিবার ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকার মধ্যে এ ঘটনা ঘটলো।
এদিকে ইরানের শহরগুলোর ওপর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
রয়টার্স অনুসারে, দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া রিপোর্ট করছে যে, ইসফাহান, শিরাক্স এবং তেহরানসহ ইরানের প্রধান শহরগুলোতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইসফাহান হল কেন্দ্রীয় শহর যেখানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে ইরানি মিডিয়া।
এটাও জানা গেছে যে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক ক্যারিয়ার এমিরেটস এবং ফ্লাই দুবাই শুক্রবার ভোরে পশ্চিম ইরানের ওপর তাদের ফ্লাইটগুলোকে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ডাইভার্ট করা শুরু করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলি হামলার ‘তাৎক্ষণিক’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হুঁশিয়ারি দেন যে ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধের জন্য তার দেশের প্রতিক্রিয়া ‘তাত্ক্ষণিক এবং সর্বোচ্চ স্তরে’ হবে।
বৃহস্পতিবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, শনিবার ইসরায়েলে তার দেশের আক্রমণ ‘বৈধ প্রতিরক্ষার অধিকার অনুশীলন’।
তেহরান বলছে, তারা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ১ এপ্রিল সিরিয়ায় তাদের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ ছিল, যে হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা রিপোর্ট করছে যে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি প্রদেশে সক্রিয় করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী আইআরআইবি ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র’ উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শোনা শক্তিশালী শব্দগুলো বেশ কয়েকটি অজ্ঞাত মিনি-ড্রোন মোকাবেলায় বিমান প্রতিরক্ষা সক্রিয় করার ফলে হয়। সূত্র বিবিসি।
Leave a Reply