জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নিয়ম অমান্য করে মনোনয়পত্র দাখিলের আগে সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন করার কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে ব্যাখ্যা প্রদানে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার এ বিষয়ে ইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
নোটিশে বলা হয়, ব্যক্তিগতভাবে আজমত উল্লাকে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৫মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানের মনোনয়পত্র দাখিলের আগে সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এর দায়ে তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না অথবা তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ৭মে বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
এছাড়া, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পীকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র) হিসেবে যেন দলীয় কার্যক্রম গ্রহণকালে অথবা অন্য কোন কার্যক্রম গ্রহণে আচরণ বিধি মেনে চলেন যেন জন্য পরামর্শ প্রদানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উল্লিখিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যেন বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণকালে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলেন যে জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণসূচি জারি করেন। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার জ্ঞাত হয়ে মন্ত্রীদের একান্ত সচিবদেরকে নির্বাচনী আচরণ বিধির বিষয়টি অবগত করেন। একই সঙ্গে তিনি চিঠিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের একান্ত সচিবদেরকে অবহিত করেন। তবুও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার জন্য সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২বিধিতে বিধান রয়েছে। তাছাড়া আচরণ বিধিমালার বিধি ৭, বিধি ১৩, বিধি ২০, বিধি ২৫ অনুযায়ী সভা সমিতি অনুষ্ঠান, যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার, প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচন না করার বিষয়ে বিধান রয়েছে।
আগামী ২৫ মে ২০২৩ তারিখে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ১২ জুন ২০২৩ তারিখে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ২১ জুন ২০২৩ তারিখে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ ছিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
Leave a Reply