1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

স্ত্রীকে ভারতে পাচার: সাতক্ষীরায় এক ব্যক্তির ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩
  • ৬২ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাচারের পর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এক জনাকীর্ণ আদালতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল (৫২)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালি গ্রামের কিশোরী মোহন মণ্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে শ্যামনগরের চুনাখালি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শচীন্দ্রনাথ মণ্ডলের নাম হয় ইব্রাহীম খলিল। ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় সুশান্ত মণ্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও নিমাই বাগদীর সহযোগিতায় ওই বছরের ৩০ মে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে চলে যায় সে। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথ মণ্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আফরোজা কালিগঞ্জ থানায় একটি মানবপাচারের মামলা (জিআর-১৭১-০৯ কালি) দায়ের করেন।

পুলিশ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসম্বের মাসে গ্রেপ্তার করে।

মামলার ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ভারতে পাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মানবপাচার আইনের ৫(১) ধারায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাঠগোড়ায় থাকা নিমাই বাগদীসহ অপর পলাতক চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পলাতক আসামিদের পক্ষে সহায়তা করেন (স্টেট ডিফেন্স) লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাড. বসির আহম্মেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews