1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

শিবির সন্দেহে বাঙলা কলেজ শিক্ষার্থীকে বেধরক মারধর, ভাঙল পা

  • Update Time : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৫ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বাঙলা কলেজে শিবির সন্দেহে হেদায়েতুল্লাহ আল হাদী নামে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ওই ছাত্রের পায়ের নিচের হাড় ভেঙে গেছে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্র প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের অধ্যায়নরত আছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কলেজটির ইংরেজি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে হেদায়েতুল্লাহ আল হাদী বলেন, শিবির সন্দেহে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে মেরেছে। পাশবিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। কে আমায় দেবে এ নিশ্চয়তা? আমি কোনো দলের সদস্য নই, আমি সাধারণ শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাকে মারল, নিষ্ঠুরভাবে মেরে পা ভেঙে ফেললো। এ কেমন ছাত্র সংগঠন! আর বারবার তাদেরকে প্রশ্ন করছি, ফুলের টোকা না দেওয়া সত্ত্বেও, কেন আপনারা আমাকে মারছেন!

জানা গেছে, হাদীকে কলেজের প্রথম বর্ষ ও শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা খবর দেন। তারা তাকে ইংরেজি বিভাগের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত আক্রমণ করেন। এই হামলায় ১৪-১৫ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সজীব ফরাজি। ইংরেজি বিভাগের সামনে তাকে মারধরের সময় লাকী আক্তার নামে এক শিক্ষক ছিলেন। তিনি বাধা দিলেও তারা কোনো কথা শোনেননি।

পরে হাদীকে মারধর করতে করতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। আরেক দফা পিটিয়ে তার পায়ের নিচের হাড় ভেঙে ফেলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাদীকে যেভাবে মারধর করার হয়েছে সে হাঁটতে পারছিল না। কেউ কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদেরকে গালিগালাজ করে ও থ্রেট দেয়। এসময় হাদীর এক বন্ধু প্রতিবাদ করতে গেলে সেও নির্যাতনের শিকার হন।

এ ঘটনার পর হাদীর বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে তার পায়ের ভাঙা অংশজুড়ে ব্যান্ডেজ করা হয়। এখন তিনি চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে বাঙলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা লাকী আক্তার বলেন, তারা কেন তাকে মারছিল সেটা বুঝতে পারিনি। তবে সেই ছেলে অনিরাপদ ফিল করলে বিভাগে এসে জানাতে পারে। আর এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে জানি না। এটা তাদের বিষয়।’

এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার জেএন ২৪ নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি কারা ঘটনা ঘটিয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews