1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

রমজান মাসে কেন আল আকসা ঘিরে ইসরায়েলের ব্যাপক সংঘর্ষ

  • Update Time : বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৬৪ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের ভেতরে বুধবার ভোরে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইলি পুলিশ জানায়, ‘আন্দোলনকারীদের’ বিতাড়িত করার জন্য তারা সেখানে প্রবেশ করলে এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ৪০০ জনের মতো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি পুলিশ। পবিত্র রমজান মাসে প্রতি বছরই ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়। বিশেষ করে আল আকসা মসজীদে প্রার্থনা করতে আসা মুসলিমরা এর ভুক্তভোগী।

যে কারণে সংঘর্ষ

৫ এপ্রিল, বুধবার ছিল ইহুদী ধর্মের অনুসারীদের প্যাসওভার উৎসব। ইহুদী ধর্মালম্বনকারীদের নিকট দিনটি খুবই পবিত্র। দিনটি এবার পবিত্র রমজান মাসে শুরু হয়েছে। আল-আকসা ইহুদিদের নিকটও সমানভাবে পবিত্রতম স্থান। এই দিনটিতে তারা এখানে উপাসনা করতে আসে। তাই প্রতিবছর প্যাসওভারের দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজীদে উপাসনা করতে আসা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বাধা দেয়। এমনকি জোর পূর্বক, প্রয়োজনে নির্যাতন করে হলেও তাদেরকে মসজীদ প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।

পূর্ব জেরুজালেমের ইসরাইল অধিকৃত ওল্ড সিটির এ মসজিদ প্রাঙ্গণে এর আগেও মুসলিমদের পবিত্র রোজার মাস চলাকালে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ এবং সহিংসতা হতে দেখা যায়। পবিত্র এ মাসে হাজার হাজার মুসলিম আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে এসে থাকেন। ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থানটি টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।

আল-আকসা জেরুজালেমের পুরাতন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি পাহাড়ের ওপরে যা ইহুদিদের কাছে হার হা-বাইত বা টেম্পল মাউন্ট এবং আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিমদের কাছে আল-হারাম আল-শরিফ বা নোবেল স্যাঙ্কচুরি নামে পরিচিত।

মুসলমানরা মক্কা ও মদিনার পর স্থানটিকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করে। আল-আকসা হল পুরো কম্পাউন্ডের দেওয়া নাম এবং এটি দুটি মুসলিম পবিত্র স্থানের আবাসস্থল ডোম অব দ্য রক এবং আল-আকসা মসজিদ, যা কিবলি মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি ৮ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল।

ইহুদিদের বিশ্বাস মতে, বাইবেলের রাজা সুলায়মান সেখানে ৩ হাজার বছর আগে প্রথম মসজিদ তৈরি করেছিলেন। ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা মসজিদ ধ্বংস করেছিল। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল জায়গাটি দখল করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয় এমন পদক্ষেপে পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরের সংলগ্ন অংশের সঙ্গে এটিকে সংযুক্ত করে। মুসলিম এবং খ্রিস্টান স্থাপনাগুলো জর্ডানের শাসক হাশেমাইট পরিবারে তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। তারা ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নিয়োগ করে যার মাধ্যমে স্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়ন করা হয়।

কেন আল-আকসা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে একটি ফ্ল্যাশপয়েন্ট?

আল-আকসা প্রাঙ্গণ দীর্ঘদিন ধরে জেরুজালেমের সার্বভৌমত্ব এবং ধর্মের বিষয়ে মারাত্মক সহিংসতার জন্য একটি ফ্ল্যাশপয়েন্ট হয়ে উঠেছে। দীর্ঘস্থায়ী ‘স্থিতাবস্থা’ ব্যবস্থার অধীনে এলাকাটি পরিচালনা করা হয়। ইসরায়েল বলছে, এটি বজায় রাখা হয় যাতে অমুসলিমরা যেতে পারে তবে মসজিদ প্রাঙ্গণে শুধু মুসলমানদের উপাসনা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

ইহুদি দর্শনার্থীরা ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়ম অমান্য করে এখানে কমবেশি প্রকাশ্যে প্রার্থনা করছে এবং মুসলিম উপাসকদের প্রবেশের ওপর ইসরায়েলি বিধিনিষেধ বিক্ষোভ এবং সহিংসতার প্রাদুর্ভাবের দিকে পরিচালিত করেছে। ২০২১ সালেও আল-আকসা ঘিরে সংঘর্ষ বাধে এবং গাজার সঙ্গে ১০ দিনের যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।

২০০০ সালে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং তৎকালীন বিরোধী নেতা এরিয়েল শ্যারন ইসরায়েলি আইন প্রণেতাদের একটি দলকে টেম্পল মাউন্ট/আল-হারাম আল-শরিফ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ফিলিস্তিনিরা তখন প্রতিবাদ করেছিল এবং সেখানে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল যা দ্রুত দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি বিদ্রোহে পরিণত হয়। ঘটনাটি আল-আকসা ইন্তিফাদা নামেও পরিচিত।

চলতি বছরের শুরু থেকেই পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বজায় থাকায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছিল। চলতি বছর প্যাসওভারের দিনটি রমজানেই পড়েছে যাকে ঘিরে সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে শঙ্কা ছিল।

রমজানে শান্তি বজায় রাখার জন্য ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দলগুলি মিসরের শার্ম আল-শেখ-এ বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু বৈঠকের লাভজনক কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews