1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঈদ যাত্রায় বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ঢল খালেদা জিয়াকে তার জীবন ও সংগ্রামের বই হস্তান্তর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের তুমুল লড়াই চলছে আমাদের ওপর ভয়ঙ্কর দানবের আক্রমণ চলছে: মির্জা ফখরুল কেএনফের পার্শ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ করা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যাংক লোন নিয়ে করতেন আত্মসাৎ, গড়েছেন বিপুল ধনসম্পদ ঈদে সড়কে গাড়ির চাপ আছে, তবে যানজট নয়: সড়কমন্ত্রী অবিলম্বে সীমান্তজুড়ে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের দাবি রিজভীর ইসরায়েলে সরাসরি হামলার প্রস্তুতি ইরানের, দূরে থাকতে বলছে যুক্তরাষ্ট্রকে

বিএনপির তৃণমূল চায় কঠোর কর্মসূচি, শীর্ষ নেতারা বলছেন , কৌশলে এগোতে হবে

  • Update Time : সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৪ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: গেল বছরের শেষ দিকে বিভাগীয় সমাবেশ করে আন্দোলনের যে চাঙ্গা ভাব বিএনপিতে এসেছিল, রাজপথের কর্মসূচি না থাকায় তাতে এখন ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীদের অনেকেই।

তবে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের ভাষ্য, নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বহমান। কর্মসূচি পালনে সরকারের নানান বাধার কারণে চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে কৌশলী হতে হচ্ছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর রাজপথ উত্তপ্ত করতে ব্যর্থ হলেও ২০২২ সালে অনেকটা ঘুরে দাঁড়ায় বিএনপি। বিশেষ করে বছরের শেষ দিকে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী।

১০ ডিসেম্বরে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরগরম হয় রাজপথ। এই গণসমাবেশ ঘিরে গ্রেপ্তার হন বিএনপি মহাসচিবসহ দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এরপরও সেই সমাবেশে ব্যাপক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটে। ফলে মনোবল বাড়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ঘিরে সৃষ্ট চাঙ্গা ভাব ধরে রাখতে পারেনি বিএনপির হাইকমান্ড। আন্দোলন যেখানে আরও গতি পাওয়ার কথা সেখানে ‘শীতল কর্মসূচি’ দেয়ার কারণে কর্মীরা হতাশ। এর ফরে বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে বলেই তাদের ভাষ্য।

তবে ‘হতাশা’ মানতে নারাজ বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, কর্মীরা হতাশ নয়, উৎসাহ ও উদ্দীপনা অব্যাহত আছে। যারা (সরকার) কথায় কথায় গুলি চালায় তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে হলেতো কিছুটা কৌশলী হতেই হবে।

অপরদিকে কঠিন কর্মসূচি না দিয়ে সমাবেশসহ অবস্থান কর্মসূচির মতো নরম কর্মসূচি আসায় বিস্ময় বিএনপির মাঠের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রের প্রতি তাদের প্রশ্ন, হামলা-মামলায় জর্জরিত তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন কী করবেন? আর কতদিন তারা আত্মগোপনে থাকবেন?

‘বিজয় না আসা পর্যন্ত ঘরে ফেরা নয়’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা করা আন্দোলনে ভাটা পড়ল কেন? সেই রহস্যও জানতে চান মাঠের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপির কৌশল নিয়েও দলের ভিতরে অনেক প্রশ্ন ওঠে। চূড়ান্ত আন্দোলনের সিদ্ধান্তের কথা বলে এখন কর্মসূচি কেনো শুধু সমাবেশ ও সহাবস্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ? এসব ঘুমন্ত কর্মসূচির সিদ্ধান্ত কোথা থেকে এলো? হাজারো প্রশ্ন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তিসহ বিএনপি যে ১০ দাবিতে আন্দোলন করছে, এভাবে কর্মসূচি এগুতে থাকলে তা বাস্তবায়ন করা স্বপ্নই থেকে যাবে।

আন্দোলনের ধীরগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৩ নং ইউনিয়ন (গোপালপুর) সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ঠান্ডা কর্মসূচি দিলেও মামলা খেতে হয়, কঠিন কর্মসূচি দিলেও মামলা খেতে হয়। গত বছর আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যে নেতাকর্মী ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি যা বিগত বছরগুলোতে ছিলো না।’

‘এখন যদি কর্মসূচি শুধু সমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়, তাহলে কর্মীরা আবার ঘরমুখো হবে। গেল বছরের আন্দোলনের শিখা অব্যাহত রাখা ছাড়া সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।’

নওগাঁ সদর উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার কামাল (ইউপি চেয়ারম্যান) বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনমুখী করতে হলে কঠিন কর্মসূচি দিতে হবে। গত বছর কর্মীরা যেভাবে পুলিশের ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমেছে তা অব্যাহত না রাখা হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে তাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করবে।’

বিএনপি নেতাকর্মীরা আর কত বছর হামলা-মামলা সহ্য করবে? এমন প্রশ্ন রেখে সারোয়ার কামাল বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ ঘরছাড়া। তাদের স্বাভাবিক জীবনও নেই।’

মাদারীপুর শিবচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এটি আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা। যেখানে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে আমরা কিছু করতে পারছি না।’

‘মাত্র ৫ ভাগ মানুষের সমর্থন নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের দমন-পীড়ন করে যাচ্ছে, এটা তাদের সফলতা। আজকে আমাদের নেতাকর্মীরা রক্তস্নাত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছে। বিএনপি কেন জোরদার আন্দোলনে যেতে পারছে না তা আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভিন্নমত প্রকাশ করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কর্মীরা হতাশ হচ্ছে কথাটি সঠিক নয়। তাদের ভিতর এখনো উৎসাহ উদ্দীপনা আছে।’

‘গত বছর দলীয় যে কর্মসূচি ছিলো তা সরকার পতনের কর্মসূচি ছিলো না। কর্মসূচি বিদ্যমান। ভবিষ্যতে আরো কঠিন কর্মসূচি আসবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুবলেন, ‘নেতাকর্মীদের মাঝে কোনো হতাশা নেই। সাগরের ঢেউ সবসময় একরকম থাকে না। একসময় উত্তাল হবে, সাইক্লোন সৃষ্টি হবে। যুদ্ধক্ষেত্রেও তাই।’

‘অনেক সময় বিভিন্ন কৌশলগত কারণে পিছপা হতে হয়। বর্তমান সরকার কথায় কথায় গুলি চালায়, গুম করে ফেলে। আমরা অনেক হিসাব-নিকাশ করেই এগোচ্ছি। আন্দোলন কাকে বলে ও কত প্রকার তা সরকার অচিরেই দেখতে পাবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

One response to “বিএনপির তৃণমূল চায় কঠোর কর্মসূচি, শীর্ষ নেতারা বলছেন , কৌশলে এগোতে হবে”

Leave a Reply to kazi manir Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews