অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন আরিফুল ইসলাম (৪০) ও মহিদুল ইসলাম (২৫)।
রবিবার ভোর ৫টা ও সকাল পৌনে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচজনে।
আরিফুল ইসলাম ও মহিদুল খানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবাসিক চিকিৎস ডা. পার্থ শঙ্কর শংকর পাল। তিনি বলেন, আরিফুল ইসলামের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল ও মহিদুল খানের শরীরে ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মৃত আরিফুল ইসলামের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুরের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি লুগোস গার্মেন্টসের আয়রন ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এক ছেলে এক মেয়ের জনক আরিফুল। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার স্ত্রী সুমি আক্তার। টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন আরিফুল।
মৃত মহিদুল খানের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। উপজেলার বেড়াকোলা খাপারা গ্রামের ছাবেদ খানের ছেলে তিনি। পেশায় তিনি গার্মেন্টসের জুট গোডাউনের শ্রমিক। মহিদুলও টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নার্গিসও (২২) দগ্ধ হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। মৃত মহিদুল খান এক ছেলের জনক।
এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ শিশু তাইবা (৩) মারা যায়। তারও আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সোলেমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন অন্তত ৩৫ জন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি এটি রাস্তায় ফেলে দেন।
এসময় সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রাস্তায় থাকা প্রায় ৩৬ জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে ২৬ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Leave a Reply