1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

একদলীয় শাসনে বাংলাদেশে আজ মুক্ত গণমাধ্যম অনুপস্থিত: মঈন খান

  • Update Time : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
  • ১৩ Time View

অনলাইন ডেস্ক : একদলীয় শাসনে বাংলাদেশে আজ মুক্ত গণমাধ্যম অনুপস্থিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে জাতিসংঘের যে সিদ্ধান্তের কথা আমরা বলেছি বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস, সেই মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের মূল প্রতিপাদ্য কি? সেটা কিন্তু জাতিসংঘের দলিলে লেখা আছে মুক্ত গণমাধ্যমের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো অর্জিত গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের কারণেই কিন্তু জাতিসংঘ মুক্ত গণমাধ্যমের কথা চিন্তা করেছে, ঘোষণা করেছে এবং পালনও করছে। কাজেই সেই গণতন্ত্র যদি দেশে না থাকে, দেশে যদি একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, এখানে যদি মানুষের মুক্ত চিন্তা-বিকাশের কোনো সুযোগ না থাকে, সেখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে পারে না।

আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে এ কথা আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে বাংলাদেশ যে আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল সেই গণতন্ত্র যে গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত সংবাদ মাধ্যম… সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে আজকে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে… এটাই হোক আজকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আমাদের প্রতিজ্ঞা।

গণমাধ্যম বা মিডিয়া সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেছিলাম আজ তার পুনরাবৃত্তি করা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, দ্য মিডিয়া ইজ মোর পাওয়াফুল বাই দ্য স্টেট… আমি একথা বলি এবং আমি বিশ্বাস করে মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী।

‘কেন বলছি এই কথা? আমি সেটা ব্যাখ্যা দিয়ে বলছি, বিকজ দ্য মিডিয়া ক্যান ডু এ্যান্ড আন-ডু স্টেট এক্সারসাইজ। অর্থাৎ সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক তারা যদি অন্যায় করে সেই অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে মিডিয়া সেই রাষ্ট্রকে গড়তে পারে, ভাঙতে পারে। আজকের সরকার এই সত্যকে যত শিগগিরই উপলব্ধি করবে আমি বলব এটা তাদের জন্য তত মঙ্গল।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজকে দেশের কি অবস্থা সেটা আমরা-আপনারা সবাই জানি। আজকে যদি গণমাধ্যমকে আমরা মুক্ত করতে চাই, গণমাধ্যমে স্বাধীনতা আনতে চাই, তাহলে প্রথম আমাদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সেদেশে গণমাধ্যম মুক্ত থাকে না এবং গণমাধ্যমের কর্মীরা কখনো স্বাধীন হবে না।

আমি জোর গলায় বলছি, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কর্মীরা আজকে স্বাধীন নন। তারা আর্থিক সংকটে জর্জরিত। তাদের আজকে চাকরির নিশ্চয়তা নেই। যখনই সাংবাদিকরা সত্য কথা বলতে চায় তখন তাদের চাকরি চলে যায়। গণমাধ্যমের সংবাদ কর্মীদের মতো এরকম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বাংলাদেশে আর কোনো মানুষ নাই। আজকে কথায় কথায় মামলা হচ্ছে, সাগর-রুনি হত্যাকারীর বিচার হচ্ছে না, ৬০ জন সাংবাদিক হত্যাকারীদের বিচার হচ্ছে না, বন্ধ পত্রিকাগুলো খোলার কোনো ব্যবস্থা নাই, আপনি চারটি পত্রিকা বন্ধ করে, পাঁচ হাজার পত্রিকা বন্ধ করে, হাজার হাজার নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে আপনি মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলছেন হাসতেও কষ্ট লাগে। এটা চলতে পারে না।’

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভয়াবহ সংকটকাল অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এমন সংকটকাল গণমাধ্যমকে পার করতে হয়নি। গণমাধ্যমের টুঁটি এমনভাবে চেপে ধরা হয়েছে যে এর স্বাধীনতা প্রায় বিপন্ন। এই দুঃশাসন পাকাপোক্তভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, সাংবাদিক গ্রেপ্তার-নির্যাতন, কথা কথায় গণমাধ্যম বন্ধ। প্রায় ৪‘শ গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটা অস্বস্তিকর অবস্থা।

আমি জোরালোভাবে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদকে নিপাত করা ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আসবে না। তাই আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত… যদি আমরা দেশপ্রেমিক হই, মুক্ত গণমাধ্যম চাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চাই, আমরা যদি গণতন্ত্র চাই, ভোটাধিকার চাই, নতুন প্রজন্মের জন্য একটা বাসযোগ্য দেশ চাই তাহলে আমাদের প্রধান টার্গেট হওয়া উচিত ফ্যাসিবাদকে তাড়ানো, হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, একেএম মহসিন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, এহতেসামুল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিক মুহাম্মদ, রাশেদুল হক, দিদারুল আলম, শাহনাজ পলি, খন্দকার আলমগীর হোসেন, সাঈদ খান বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews