1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রেফতার ৯০০ প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর রোল মডেল, অভিযোগ রিজভীর সিলেট অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা যদি বন্ধু হও সীমান্তে অহরহ গুলি কেন, ভারতকে ফারুক বাংলাদেশ কংগ্রেসের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে লজ্জিত শাহবাজ শরিফ

উপজেলা নির্বাচনে ইসির প্রস্তুতি সম্পন্ন

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৯ Time View

অনলাইন ডেস্ক : ঘনিয়ে এসেছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন। ৮ মে প্রথম ধাপের ভোট দিয়ে শুরু হবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় ভোট হবে ২১ মে।

বুধবার কমিশন সভা শেষে তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তৃতীয় ধাপে দেশের ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মে। ২১টি উপজেলায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি উপজেলাগুলোতে ভোট হবে ব্যালটে।

এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২ মে। যাচাই-বাছাই করা হবে ৫ মে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৬ থেকে ৮ মে পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তির জন্য সময় রাখা হয়েছে তিনদিন। ৯ থেকে ১১ মে আপিল নিষ্পত্তি হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৩ মে। সবশেষ চতুর্থ ধাপের উপজেলা ভোটের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন নির্ধারণ করেছে ইসি।

এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের সময়ই উপজেলা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। কাজেই সেসব নিয়ে এ পর্যায়ে বাড়তি কোনো চাপ নেই। বিজি প্রেস থেকে পর্যায়ক্রমে ব্যালট পেপার ছাপানোর সব ধরনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে যেসব উপজেলায়, সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।”

প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলায় ভোটে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। গত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনটি পদের জন্য অনলাইনে প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৪৭১ প্রার্থী। একক প্রার্থী হয়েছেন ১২ জন। এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।

দ্বিতীয় ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে ২১ মে।

প্রার্থীদের আচরণ ও বিধিমালায় এবার বেশ কিছু সংশোধনি এনেছে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত সেসব নিয়মকানুন এই নির্বাচনে কার্যকর করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। প্রথমবার এই নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে নির্ধারিত পদ্ধতিতে। এবারের নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাদান বাধ্যতামূলক করায় সে বিষয়ে প্রচারও চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপের নির্বাচনি এলাকাগুলোতে প্রার্থীরা সরাসরি এবং অনলাইন মাধ্যমেও নিজেদের প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন।

এরই মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোনো উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি হলে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দেশের মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে বর্তমানে নির্বাচনযোগ্য উপজেলা রয়েছে ৪৮৪টি। চার ধাপে ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত ২৮ দিনে পর্যায়ক্রমে এসব উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এরই মধ্যে ইসির সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য প্রায় ৭ লাখ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে এ পর্যায়ে চলছে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। প্রথম পর্যায়ের ১৫২টি উপজেলার মাঠপর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, সেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ২০ এপ্রিলের পর শুরু হবে। অন্যান্য ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য পর্যায়ক্রমে ৭ লাখ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এবারই প্রথম উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। www.ecs.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নোটিশ বোর্ড ‘অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল’ অথবা onss.ecs.gov.bd-তে গিয়ে সরাসরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। প্রার্থী নিজে অথবা কারও সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে মনোনয়পত্র জমা দিতে পারবেন। আবেদনের সময় প্রার্থীর ফেস ভেরিফিকেশন অংশে তাকে অবশ্যই নিজে উপস্থিত থেকে ছবি দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি সব ধরনের তথ্য প্রদানের প্রক্রিয়া আগের পদ্ধতির হার্ড কপি ফরমের অনুরূপ।

অনলাইনে আবেদনের সময় জামানতের টাকাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই প্রার্থীরা জমা দিতে পারবেন। আবেদন দাখিলের শেষ ভাগে প্রার্থীকে জামানত প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম সিলেক্ট করে পছন্দসই প্রচলিত কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জামানত দেওয়া যাবে।

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ ১০ গুণ বাড়ানোয় চেয়ারম্যান পদের জামানত ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করেছে ইসি। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন। আর সেই পরিমাণ ভোট না পাওয়া প্রার্থীদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এর আগে প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ বা প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেলেই প্রার্থীর জামানত রক্ষা হতো। এ ছাড়া নির্বাচনে কোনো পদে একাধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে আবার ভোটগ্রহণ করার বিধান ছিল। এখানে এবার সংশোধনি আনা হয়েছে। একাধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে লটারিতে।

উপজেলা পরিষদের সংশোধনি বিধিমালায় এবার নির্বাচনে সাদা-কালো বা রঙিন পোস্টার, ব্যানার করার বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে নির্বাচনি প্রচারে রঙিন পোস্টার করা বন্ধ ছিল। প্রতীক বরাদ্দের আগে এতদিন প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারের সুযোগ পেতেন না। এবার সীমিত পরিসরে প্রচারের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচজন কর্মী-সমর্থক নিয়ে জনসংযোগ করতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

এর আগে ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ ধাপে। সেই নির্বাচনে ১৪টি উপজেলায় ভোটগ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছিল। সে সময় দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় প্রায় ৩০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় সেসব উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও প্রতীক না দেওয়ায় বেশির ভাগ উপজেলায়ই স্বতস্ত্র প্রার্থী এবার বেশি থাকবেন। তাই বিনা ভোট বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করার সুযোগ থাকবে না প্রার্থীদের।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews