জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোখা শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবার ভোরের দিকে আঘাত হানতে পারে। ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূলে। এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার।
বুধবার বিকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। এ জন্য দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট সবাই প্রস্তুত আছে। আমরা সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছি। প্রতিবারের মতো ইনশাল্লাহ, এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারব। সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড প্রস্তুত আছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সুপার সাইক্লোন হবে, এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এটি আঘাত হানতে পারে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের নিচু এলাকায় আঘাত হানতে পারে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
‘ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে এরইমধ্যে শুকনা খাবার পৌঁছে গেছে। পর্যায়ক্রমে চাল ও নগদ ২০ লাখ টাকা চলে যাবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত আছে। একইসঙ্গে নৌযানগুলোকে উপকূলে ভিড়তে বলা হয়েছে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তৃতীয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে৷
Leave a Reply