সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের তেলের দাম বেড়ে যাওয়া কৃষকেরা ঝুঁকে পড়ছেন তেলবীজ উৎপাদনের দিকে। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলাতে প্রধান তেলবীজ সরিষা উৎপাদনে এবার কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ফেলেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। বগুড়ার বিভিন্ন মাঠ জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদের সমারোহ।
জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে কৃষকের সরিষা গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। সরিষার ফুলের সৌন্দর্যে মুখরিত হয়ে উঠেছে কৃষকের মাঠ। মনে হচ্ছে হলুদ রঙের বাসন্তী শাড়ি দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সোনালী প্রান্তর। এ সৌন্দর্যের সাথে নিজেকে ক্যামেরাবন্দী করতে বিভিন্ন এলাকা হতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। সাধারণত আমন ধান কাটার পরপরেই কৃষকরা জমিতে সরিষার বীজ বপন করে। সরিষার ফসল ঘরে তুলে তারা আবার জমিতে বোরো ধান ধানের আবাদ শুরু করে। এক্ষেত্রে জমি হতে তারা একটি বাড়তি ফলন ঘরে তুলতেই সরিষার আবাদ করেছে। আবার একই জমিতে বোরো ধান রোপন করতেও খরচ কমবে কৃষকের। সরিষা চাষে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তাগণ । বগুড়া সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামের কৃষক মুসা মিয়া জানান, আমন ধান কাটার পর তিনি ৫০ শতক জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। গত কয়েকদিন আগে তার জমিতে সরিষার ফুল ফুটেছে। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন তার জমি হতে তিনি প্রায় ১০ মণ সরিষা পাবেন।
Leave a Reply