শামীম আহমেদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ১১নং খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম রেজওয়ানের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন ইউপি সদস্য।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম রেজওয়ান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারের আইন নীতিমালা ও কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সকল ক্ষেত্রেই সরকারি সব কাজের দিক নির্দেশনা অমান্য করে পরিষদের সদস্যদের সাথে কোন প্রকার পরামর্শ না করে বেপরোয়া ও অবৈধ ভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। চেয়ারম্যানের এই সব অনিয়মে ইউনিয়ন বাসী বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়ন বঞ্চিত হইতেছে। উক্ত দুনীতিবাজ চেয়ারম্যান এর অনিয়ম অসৎ আচরণ, অর্থ আত্মসাৎতের সার্বিক লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ্ইউনিয়নের পরিষদের টেক্স ও ট্রেড লাইসেন্স আদায় অন্তে নিয়ম মাফিক ব্যাংকে জমা না রেখে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সরকারী অর্থ ব্যক্তি অর্থের মত ব্যবহার করছে।
গত ঈদ-উল-ফিতরের ভিজিএফ ৩৪ বস্তা চাল আত্মসাৎ, হাট বাজারে পুরাতন ১০৫ পিচ টিন, আইয়ুব আলী নাম মোড়ে রাস্তার উত্তর পাশের্^ কালভার্টের ইট ও ৩নং ওয়ার্ডের ব্রীজের পুরাতন ইট নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা, প্রধানমন্ত্রী কতৃক অনুদান শুকনা খাবারের কাউকে অবগত না করে একাকি ভাবে আত্মসাৎ করেন, জিনের বাশার সাথে সংযুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণের কন্ট্রাক দিয়ে অভিনব কায়দায় মোবাইল নম্বর ০১৭৮২৪৬০৩৮৪,০১৭০১৪২১৬৭৭ হইতে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিজ বাড়িতে পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হওয়ায় চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী লোকজন দ্বারা সদস্যদের হুমকী ধামকি ও লাঞ্চিত করেন, সরকারি ত্রাণ সামগ্রী ভিজিডি, ভিজিএফ ও অন্যান্য বরাদ্দকৃত মালামাল আসলে পরিষদের বিধিমালা নিয়ম ছাড়াই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। এমনকি প্রতি মাসে মাসিক মিটিং করেন না।
স্থানীয় ভূমি উন্নয়ন কর ১% এর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করিয়া নতুন আসবাবপত্র ক্রয়ের কথা বলে সদস্যদের মারফত হতে রেজুলেশন করিয়া নেন। কিন্তু ইউনিয়নের পুরাতন আসবাবপত্র দেখাইয়া উক্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাৎ করেন, ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ৪ রাস্তার মোড়ে ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া শত বছরের একটি পাকুড়ের গাছ কর্তন করিয়া বিক্রিত টাকা আত্মসাৎ করেন।
উক্ত বিষয়ে তার নামে সিআর মামলা ৫০/২৩ চলমান রয়েছে। ২নং ওয়ার্ড ফুলবাড়ি মৌজায় ৬২০টি ইউক্লিপ্টাস গাছ ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা জামানতে ঠিকাদারগণ ডাক সম্পন্ন করেন, ডাকের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা। ৩ লক্ষ টাকা জামানত ডাক গ্রহণ করে গাছ কর্তনের পরে উক্ত চেয়ারম্যান ঐ জামানতের টাকা দিতে অস্বীকার করলে ঠিকাদার কর্তৃক সিআর মামলা দায়ের করে। যাহার নম্বর-১২১/২৩ সাদুল্লাপুর মামলাটি চলমান আছে। জন্ম নিবন্ধন সরকারি ফি দেয়া শর্তে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। গ্রাম আদালত থাকা স্বত্ত্বে কোন কার্যক্রম হচ্ছে না। উল্লেখ্য প্রকাশ ১১নং খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতিতে সচেতন জনগণের মধ্যে ফুসে উঠেছে। তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কামনা করছেন।
Leave a Reply