জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সব কূটকৌশল নস্যাৎ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস। সঞ্চালক ছিলেন মহাসচিব ড. এমতাজ আহমেদ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার দমন-নির্যাতন চালিয়ে নানা ধরনের কূটকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা জনগণের স্বার্থ না দেখে ক্ষমতায় টিকে আছে। ইনশাআল্লাহ জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা হবে। জনগণের রায়ের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সাজা দিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছায়াকে ভয়পায়। আওয়ামী লীগের সবাই যখন পালিয়েছে তখন মেজর জিয়া ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। এতদিন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি। এখন বলছে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা পাঠ করেছেন। তাহলে এখন প্রশ্ন জাগে জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতা পাঠ করেছেন সেটি লিখল কে। শেখ মুজিবুর রহমান বন্দি, আওয়ামী লীগের নেতারা পলাতক। তাহলে স্বাধীনতার ঘোষণা লিখলো কে? মেজর জিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এটাই সত্য। এটাই ইতিহাস।
নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পৃথিবীতে অন্য কোনো দেশের বিরোধী দোলের নেতাকর্মীদের নামে এতো মামলা নেই; এতো নির্যাতন নিপীড়ন করা হয় না। সরকার হামলা, মামলা,গুম-খুন করে ক্ষমতায় টিকে আছে। কিন্তু সরকারে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপশাসন ও দুর্নীতির কারনে ডামি সরকারকে মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. লুৎফর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম রতন, আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জিয়া পরিষদের সভাপতি এনামুল প্রমুখ।
Leave a Reply