জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুরহানপুর গ্রামে গেদা মিয়া চৌধুরীর ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়ের দিন আগামী শুক্রবার ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর গেট নির্মাণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেনের ভাগ্নে তুহিন আহমেদের নেতৃত্বে কয়েস ও শরীফসহ ৮-১০ জন বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে দেওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবি করে তা ভাংচুর করেন। শুধু তাই নয়, ভাঙা গেটের বাঁশ, কাপড়সহ সরঞ্জামাদি তাদের বাড়িতে নিয়ে যান।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাহিম চৌধুরীসহ পঞ্চায়েতের লোকজন দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকির হোসেনের পক্ষের তুহিন, কয়েস, শরীফদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পরে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনার পর থেকে বুরহানপুর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে সিলেট ও নবীগঞ্জে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।