জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বলিউডের বর্তমান প্রজন্মের তারকাদের মধ্যে অন্যতম রণবীর কাপুর। অভিনেতা হিসেবে তিনি বরাবরই অতুলনীয়। এ কথা মানেন তার নিন্দকেরাও। দর্শকদেরও বড় একটা অংশ খুব কমই এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তবে ব্যক্তিগত জীবনের কারণে বারবারই কটাক্ষ আর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ঋষি-পুত্রকে। তা সে প্রাক্তন প্রেমিকা দীপিকা বা ক্যাটরিনার সঙ্গে ব্রেকআপ হোক, কিংবা বর্তমান স্ত্রী আলিয়ার বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়া।

এদিকে, বিয়ের পর তো স্ত্রী আলিয়ার সঙ্গে রণবীরের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যখন আলিয়া একটি লিপস্টিক টিউটোরিয়ালের ভিডিওতে বলেছিলেন, ‘আমার বর রণবীর লিপিস্টিক পরা একদম পছন্দ করে না। এমনকি যখন প্রেমিক ছিল তখনও। দেখলেই বলতো মুছে ফেলো, মুছে ফেলো।’

তারপর থেকে রণবীরের নামের পাশে জুড়ে যায় ‘বিষাক্ত পুরুষত্ব’ তকমাটা। সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেই বিষয় নিয়েই ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ‘রকস্টার’ তারকাকে। জবাবে কী বললেন অভিনেতা?

রণবীর বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। তাই নেতিবাচকতার মুখোমুখি হতে হয় না সরাসরি। যা একটা দুর্দান্ত জিনিস। তবে আমি মনে করি, নেতিবাচকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আপনি যদি একজন শিল্পী হন।’

নায়ক মনে করেন, ‘ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয়েরই অস্তিত্ব থাকা দরকার। কারণ এটি একটা ভারসাম্য তৈরি করে। আপনি জানেন যে কখনো কখনো একজন অভিনেতা হিসাবে আপনাকে নিয়ে এমন অনেক কিছু লেখা হয়, অনেক মতামত তৈরি করা হয়, যা সত্য নয়। আপনি সেগুলোকে এক চিমটি লবণের মতো নিতে পারেন।’

রণবীর বলেন, ‘আমার ইমেজ এমন তৈরি করা হয় যা আমি নই, হতে পারে আমার করা কোনো চরিত্র, বা শুধু কোনো কথার ভিত্তিতে লোকের মনগড়া। কিন্তু এটা আমার নিজের নয়। বরং জনসাধারণের। হতে পারে তারা আমাকে পছন্দ করেন বা অপছন্দ। যতক্ষণ তারা আমার কাজকে পছন্দ করছেন এরকম খারাপ-ভালো থাকবেই। আমার ফোকাস শুধু অভিনয়ে।’

‘বিষাক্ত পুরুষত্ব’ তকমা নিয়ে রণবীর বলেন, ‘আমার কিছু বিবৃতি নিয়ে যেভাবে আমাকে তুলে ধরা হয়েছে, তেমন কিছু প্রতিবেদন আমি পড়েছি। আমি সেই লোকদের পাশে আছি যারা বিষাক্ত পুরুষত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা যদি এটার মুখ হিসেবে আমাকে ব্যবহার করেন তাতেও আমার আপত্তি নেই। কারণ তাদের লড়াইটা আমার চেয়ে বড়। হতে পারে আমি যা বলেছি, তা তাদের খারাপ লেগেছে।’