জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে, আটলান্টিক মহাসাগরের দেশ আমেরিকায় না গেলে কিছু আসে যায় না।’

শনিবার বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালায় উদ্বোধন করার পরে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে কার্যালয়টির উদ্বোধন করা হয়। তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনেই ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণ করার অনুমতি দেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ভবন একইসঙ্গে দলীয় কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে কী করলো বা স্যাংশন দিলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আটলান্টিক মহাসাগরের দেশ আমেরিকা, ২০ ঘণ্টা বিমানে জার্নি করে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যেতে হয়। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে আমেরিকায় না গেলে কিছু হবে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন, কিন্তু আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবো বলেই এই বাজেট দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের জন্যই কাজ করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক হামলা মামলা করা হয়েছিল, কিন্তু পারেনি। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করর জন্য ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ অনেক চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, ইনস্টিটিউটের মতো।’

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এ দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় ভূমিকা পালন করেছে।’, বলেন শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।’