1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: এএসপি নির্মলেন্দুকে শাস্তি দিয়েছে সরকার

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩
  • ১১৯ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমেদ নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (এসি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তীকে শাস্তি দিয়েছে সরকার। রায়হান আহমেদের মৃত্যুর পর এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার না করা এবং মামলা সঠিবভাবে তদারকি না করায় ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

রায়হান হত্যা মামলার অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ছিলেন নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার।

২০১৭ সালে ইন্সপেক্টর থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হন নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। সেসময় তিনি চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। পদোন্নতির পর তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ-এসএমপিতে পদায়ন করা হয়।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্মলেন্দু চক্রবর্তী সিলেট মেট্রোপলিটনে কর্মরত অবস্থায় ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য জনৈক রায়হান আহমেদকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে তার মৃত্যু হয়। আপনার (নির্মলেন্দু চক্রবর্তী) যথাযথ তদারকির অভাবে ভুল ধারায় সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় পরেরদিন (১২ অক্টোবর) মামলা হয়। মামলা নম্বর-২০। ধারা উল্লেখ করা হয়- দ.বি. ৩০২/৩৪ এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১)/১৫(২)/১৫(৩)।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটির সদস্য হিসেবে নির্মলেন্দু চক্রবর্তী অনুসন্ধানকালে পুলিশ সদস্যের শারীরিক নির্যাতনের কারণে রায়হান আহমেদের মৃত্যু ঘটে, যা ফৌজদারী অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারে আইনানুগ উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দেন। নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে ২০২১ সালের ১০ মার্চ অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি ১১ এপ্রিল কারণ দর্শানোর জবাব দেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর আবেদন করেন। যেহেতু তার দাখিল করা কারণ দর্শানোর জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষগণের বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সব তথ্য বিবেচনা করে নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ফলে তাকে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমানকে বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা গতবছরের ১১ নভেম্বর তার দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে জানান, নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে। সেহেতু, নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(ক) বিধি মোতাবেক ‘অদক্ষতা’-এর প্রমাণিত অভিযোগে একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি (ক) মোতাবেক ‘তিরস্কার’ লঘুদন্ড প্রদান করা হলো।

এদিকে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর রায়হানকে হত্যার ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে একই বছরের ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে একইবছরের ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০২১ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। এ ঘটনায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই মো: হাসান উদ্দিন ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews