জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো প্রসারের লক্ষ্যে সরকার নতুন নতুন স্থলবন্দর গড়ে তুলছে। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মলিন মুখের পরিবর্তন করে সুন্দর হাসিমুখের চেহারা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমরা ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। এতে অন্য কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না।
বুধবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ নামাঙ্কিত উদ্বোধনী ফলক স্থাপন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস রিজভী আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. হাসান আলী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবছরের ১১ মার্চ ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। ৩১.১৪ একর জমির ওপর স্থলবন্দরটি নির্মাণে ৭৫.১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, অফিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, ব্যারাক ভবন, পাওয়ার হাউজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও দু’টি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ক্রমাগত ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় ও নেতৃত্বে ২০০৯ সাল হতে নতুন বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাসহ নৌপরিবহন খাতে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এসকল স্থলবন্দরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্থলবন্দরের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর’ একটি।
প্রতিমন্ত্রী পরে হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নামান্কিত উদ্বোধনী ফলক স্থাপন ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
Leave a Reply