আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ‘শর্তসাপেক্ষ আলোচনা’ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
বুধবার নিজের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে ইমরান বলেছেন, আমরা সামরিক নেতৃত্বের সাথে আলোচনা পছন্দ করি, যারা প্রকৃত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তবে আলোচনার জন্য একটি শর্ত হল ‘পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার বিরুদ্ধে সমস্ত ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কী আলোচনা করতে চান তা উল্লেখ করেননি তিনি।
যেকোন আলোচনায় তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তিনি মাহমুদ খান আচাকজাইকে নিযুক্ত করেছেন জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘সামরিক নেতৃত্ব তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করলে আমরা শর্তসাপেক্ষে আলোচনা করব।’ আচাকজাই ইমরানের একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র এবং সামরিক বাহিনীর একজন সমালোচক।
তিনি আরও বলেন, ‘ আমরা যেকোনো আলোচনার জন্য ‘পুতুল’ সরকারের সঙ্গে বসতে চাইনা।’
এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এর আগে ইমরান খানের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করেছে।
ইমরান খানের এবারের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায়ও পাক সামরিক বাহিনী গত ৭ মে একটি তাদের মিডিয়া কনফারেন্সের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে। যেখানে সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ, কোনও রাজনৈতিক নেতা বা কোনও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বসা সম্ভব নয়৷ যে নিজের সেনাবাহিনীর ওপর হামলায় জড়িত।’
সামরিক বাহিনীর দাবি, ইমরান খান এবং তার দল গত বছর তার আটকের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের সময় সামরিক স্থাপনায় হামলার পেছনে জড়িত ছিল।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান ২০২২ সালে সংসদে অনাস্থা ভোটে তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছেন। তবে এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে সামরিক বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাস, সহিংসতা, ব্লাসফেমি, দুর্নীতি এবং হত্যার মতো ১৪০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি ইমরান খান।
গত বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ইসলামাবাদের জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে বন্দি।
Leave a Reply