জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট সব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকগণ সঠিকভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। সেই সঙ্গে এই রোগের গতিপ্রকৃতি, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরবর্তী পরিনতি সম্পর্কে সাঈদীর সন্তান মাসুদ সাঈদী সম্যকভাবে জ্ঞাত আছেন বলেও উল্লেখ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালযয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ইমারজেন্সি বিভাগে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আনিত রোগী দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (বয়স ৮৪ বছর) ভর্তি শুরু থেকে পরবর্তী সব চিকিৎসা বিধিসম্মতভাবে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়। তার চিকিৎসায় অত্র হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব চিকিৎসা দানকারী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকগণ সঠিকভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। পরদিন ১৪ আগস্ট বিকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তার হঠাৎ ‘কার্ডিয়াক এরেস্ট’ হয়। তার এডভান্স কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা চলতে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই রোগের গতিপ্রকৃতি, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরবর্তী পরিনতি সম্পর্কে তার সন্তান মাসুদ সাঈদী সম্যকভাবে জ্ঞাত আছেন ।
এর আগে গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা যান। তার আগে রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকালে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দি ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
Leave a Reply