ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই তরুণ নেতৃত্বকে বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘নিশিরাতের সরকার বুঝে গেছে, জনগণ এখনই তাদের পদত্যাগ চায়। বিএনপি যেখানেই সমাবেশ করছে সেখানেই সাধারণ মানুষের ব্যাপক ঢল নামছে। সরকারের পতন ঘনিয়ে আসছে সেই আতঙ্কে পবিত্র ঈদুল আযহার আগে আবারও অমানবিক গ্রেপ্তার-নির্যাতনে মেতে উঠেছে।’
বুধবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম চালাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-দেশটা এখন আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশুণ্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এই দলটিকে ধ্বংস করে দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করতেই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরন্তর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘কতৃত্ববাদী সরকার এখন নিশ্চিত যে, তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে, আর এ কারণেই তারা এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেই তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ণ যত বাড়বে প্রতিবাদের ঝড়ের গতি ততই তীব্র হবে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, নিপীড়ণ-নির্যাতন বন্ধ করুন, দেশের স্বার্থে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।‘
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
Leave a Reply