জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: সরকার পতনে বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতে ড. ইউনূস ইস্যু সামনে আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার। আমাদের প্রধান যে ইস্যুটা, সরকার পরিবর্তন করতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে। সেটা ডাইভার্ট করার জন্য ইউনূস ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে সরকার।’
বুধবার রাজধানীর দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. ইউনূস ইস্যুতে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ব্যাপার রয়েছে। আরেকটা ব্যাপার আছে, এই মুহূর্তে এটাকে এত দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। ইটস আ ডাইভার্সন অব দ্য মেইন ইস্যু।’
‘জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে উনি (ইউনূস) এখন প্রাধান্য পাচ্ছেন। অর্থাৎ তাদের (সরকার) যে লক্ষ্য ছিল যে, এটাকে ডাইভার্ট করবে, কিছুটা হলেও তারা সেটা পেরেছে। সেই কারণে আমি মনে করি, ড. ইউনূসের ইস্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়।’
এসময় ইউনূস ইস্যুতে পাল্টা বিবৃতিতে সই না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আলোচনায় থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার প্রসঙ্গেও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের পক্ষে কথা বলার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। এ রকম একটা রাষ্ট্র, যেখানে সত্য কথা বলার কোনো উপায় নেই। যে রাষ্ট্রে মানুষের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সেই রাষ্ট্র অবশ্যই ভেঙে পড়ছে। অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে না পারলে দেশকে রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।’
বর্তমান সরকার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবারের ডেঙ্গুর প্রকোপ এর বড় প্রমাণ। এডিস মশা নিধনের জন্য সিটি করপোরেশনের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।’
এসময় তিনি ঢাকার দুই মেয়রকে নিয়ে বলেন, ‘দুই মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। এ জন্য তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা দুর্নীতি নিয়ে ব্যস্ত।’
এসময় বিএনপি নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং বিএনপি নেতা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply