জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নয়ন করতে হলে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক হানাদার বাহিনীর চালানো নির্যাতন, নিপীড়ন আর হত্যার মতো নারকীয় কান্ডের জন্য অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। মসজদীদে নববীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এমন শর্তই দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
চলতি বছরের হজে পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীতে এম. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সাক্ষাৎ হয়েছে।
মদিনার মসজিদে নববিতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং তাকে একসঙ্গে দেখা গেছে। সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি টুইট করে সালমান এফ রাহমান ক্যাপশনে লেখেন, ‘মসজিদে নববিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। এর আগে আমার যখন ১২ বছর বয়স তখন আমাদের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল। শৈশবের অনেক স্মৃতি আমাদের মনে পড়ে গেল। আমি তাকে বলেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া জরুরি।’
অপরদিকে সালমান এফ রহমানের টুইট করার প্রায় ৭ ঘণ্টা আগেই টুইটারে নিজের ‘বাল্যবন্ধু’র সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারটি জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দু’টি ছবি টুইট করেন। ছবি দু’টিতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে তাকে হাস্যোজ্জল অবস্থায় দেখা গেছে।
ছবির ক্যাপশনে আরিফ আলভি বলেন, ‘মক্কা, মদিনা ও মিনা এবং রওজা-ই রাসুলে (মসজিদে নববি) বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। সময়টা চমৎকার ছিল। ছবিতে সাদা পোশাকে যাকে দেখা যাচ্ছে—তিনি আমার বাল্যবন্ধু সালমান এফ রহমান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। ষাট বছর পর আমাদের সাক্ষাৎ হলো। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাত হওয়ায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা।’
Leave a Reply