জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে তিনি শিশু হাসপাতালে যান। পরিদর্শন শেষে বাইরের হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি সিন্ডিকেট শিশু হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা মুমূর্ষু শিশুদেরকে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে কমিশন অভিযোগ পেয়েছে। সিন্ডিকেটের বিষয়টি কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করবো। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেও চিঠি দেওয়া হবে।’
জাতীয় মানবাধিকারের চেয়ারম্যান শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বিশেষ করে ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। তিনি রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে বলে শুনেছি। ওই অভিযোগ অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেটে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা, এমনকি আনসার সদস্যরাও জড়িত। হাসপাতালে শয্যা নেই বলে প্রচার চালায় সিন্ডিকেট। এভাবে তারা এখানে ভর্তি হতে আসা মুমূর্ষু শিশুদের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এই কাজটিতে তিনি ‘মুমূর্ষু রোগীদের কেনাবেচা’ বলে অভিহিত করেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের টাকা খরচ করে এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়। আর এসব প্রতিষ্ঠানে মুমূর্ষু শিশু রোগী ভর্তি করতে এসে অভিভাবকদের সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে। শেষে মৃত সন্তান নিয়ে অভিভাবকদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। রোগীদের এভাবে যারা কেনাবেচা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
ডেঙ্গু রোগীদের বিপুল চিকিৎসা খরচসহ স্বাস্থ্য খাতের নানা অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডেঙ্গু চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা খরচ হওয়া, স্যালাইন সংকট, স্যালাইনের দাম বেশি নেওয়াসহ বিভিন্ন খবর আসছে। অভিযোগগুলো তদন্তের বিষয়। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে, তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে এখানে যে রোগীরা ভর্তি আছেন, তাদের স্বজনেরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে যারা ভর্তি হতে পারছেন না, বিশেষ করে যারা মুমূর্ষু শিশু, তাদের জন্য কোনোভাবে হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি।
গত ৪ আগস্ট বেসরকারি টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর-এর ‘সার্চলাইট’ নামে অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠানে ‘মুমূর্ষু রোগী কেনাবেচা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এর প্রেক্ষিতেই সোমবার পরিদর্শনে গেলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।
জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে তিনি শিশু হাসপাতালে যান। পরিদর্শন শেষে বাইরের হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি সিন্ডিকেট শিশু হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা মুমূর্ষু শিশুদেরকে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে কমিশন অভিযোগ পেয়েছে। সিন্ডিকেটের বিষয়টি কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করবো। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেও চিঠি দেওয়া হবে।’
জাতীয় মানবাধিকারের চেয়ারম্যান শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বিশেষ করে ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। তিনি রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
x
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের টাকা খরচ করে এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়। আর এসব প্রতিষ্ঠানে মুমূর্ষু শিশু রোগী ভর্তি করতে এসে অভিভাবকদের সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে। শেষে মৃত সন্তান নিয়ে অভিভাবকদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। রোগীদের এভাবে যারা কেনাবেচা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
ডেঙ্গু রোগীদের বিপুল চিকিৎসা খরচসহ স্বাস্থ্য খাতের নানা অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডেঙ্গু চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা খরচ হওয়া, স্যালাইন সংকট, স্যালাইনের দাম বেশি নেওয়াসহ বিভিন্ন খবর আসছে। অভিযোগগুলো তদন্তের বিষয়। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে, তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে এখানে যে রোগীরা ভর্তি আছেন, তাদের স্বজনেরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে যারা ভর্তি হতে পারছেন না, বিশেষ করে যারা মুমূর্ষু শিশু, তাদের জন্য কোনোভাবে হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি।
গত ৪ আগস্ট বেসরকারি টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর-এর ‘সার্চলাইট’ নামে অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠানে ‘মুমূর্ষু রোগী কেনাবেচা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এর প্রেক্ষিতেই সোমবার পরিদর্শনে গেলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।
Leave a Reply