জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ রুবেল। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে গাজীপুরে জোড়পুকুরে তাকে দাফন করা হয়েছে। রুবেলের মৃত্যুর পর শিল্পীদের নেশা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ‘আয়নাবাজি’ নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর শিল্পকলা একাডেমিতে আহমেদ রুবেলকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘রুবেল ভাই অসাধারণ অভিনেতা, অসাধারণ ভয়েস আর্টিস্ট। কিন্তু তিনি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ ছিলেন। এক সপ্তাহ আগেও আমরা কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, সহযাত্রীদের পাশে থাকেন।’
সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে অমিতাভ রেজা বলেন, ‘ধূমপান বন্ধ করুন, সব ধরনের নেশাদ্রব্য থেকে দূরে থাকুন। সাম্প্রতিক সময়ে যারাই মারা গেছেন, সকলেরই এটা প্রধানতম কারণ ছিল। এটা এখানে বলা হয়তো উচিত না। কিন্তু আমি চাই না এরকম দুঃখ আমাদের আরও বাড়ুক।’
কিন্তু কেন এভাবে বললেন অমিতাভ রেজা? তবে কি আহমেদ রুবেল অতিরিক্ত ধূমপায়ী বা নেশাগ্রস্ত ছিলেন? উঠছে প্রশ্ন। চলছে ফিসফাস।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অভিনেতা আহমেদ রুবেল। এদিন বিকালে গাজীপুরের বাসা থেকে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে বসুন্ধরা শপিং মলে আসেন তিনি। সেখানে সন্ধ্যায় তার অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ছিল।
কিন্তু শপিং মলের বেজমেন্টে গাড়ি পার্ক করে হাঁটার সময় হঠাৎ পড়ে যান আহমেদ রুবেল। দেয়ালে চোট লেগে তার কপাল ফুলে যায়। এ সময় তিনি বারবার ঢেকুর তুলতে থাকেন। সঙ্গে থাকা ‘পেয়ারার সুবাস’-এর পরিচালক দ্রুত তাকে শপিং মলের প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।
তবে অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার চিকিৎসক আহমেদ রুবেলকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেই মতো সিএনজিতে করে অভিনেতাকে নেওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আহমেদ রুবেল মারা গেছেন।
বুধবার রাত থেকে অভিনেতার মরদেহ ছিল মোহাম্মদপুর মারকাজুলের হিমঘরে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মরদেহ নেওয়া হয় শিল্পকলা একাডেমিতে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিকালে গাজীপুরে নিয়ে সেখানে দাফন করা হয় আহমেদ রুবেলকে।
Leave a Reply