জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: স্মার্টফোনের এই যুগে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস অনেকেরই তৈরি হয়ে গেছে। তবে কারও কারও আবার অফিসের জন্য রাত জাগতে হয়। সে ক্ষেত্রে রাতে ভরপেট খেলেও মাঝ রাতে আবার খিদে পেয়ে যায়।
পুষ্টিবিদরা বলেন, এই খিদে অনেকটাই মনের। সেই ফাঁদে পা দিয়েই চিপস, কেক, চকোলেট খেয়ে ফেললেই বিপদ! এ ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কেউ কেউ আবার খিদে চেপে রেখেই ঘুমাতে চলে যান। ক্ষতি হয় তাতেও।
তাহলে উপায়? রাতে ঘুমানোর কী খেলে পেটও শান্ত হবে, আবার ওজন বৃদ্ধিরও ভয় থাকবে না। উল্টো শরীরের বাড়তি ওজন কমতে থাকবে দ্রুত গতিতে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কলা চলতে পারে
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল। সহজলভ্য এবং বেশ সস্তাও। অনেকেই ভাবেন কলা খেলেই মোটা হয়ে যাবেন। এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। এই ফল খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার আছে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে পারে। তখন অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধির ভয়ও কমে।
আমন্ড বাদাম
গভীর রাতে খিদে পেলে কয়েকটা আমন্ড বাদাম খেয়ে নিতে পারেন। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। এই বাদামে একসঙ্গে রয়েছে ফাইবার আর প্রোটিন। এই দুই উপাদানই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই উপাদান কিন্তু মরণব্যাধি ক্যানসারের কোষকে বাড়তে দেয় না। ফলে দূরে থাকা যায় ভয়ানক এই রোগ থেকে।
পিনাট বাটার
গভীর রাতের খাদ্য তালিকায় পিনাট বাটারও রাখতে পারেন। প্রোটিনে ভরপুর চিনাবাদাম পেশি তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ট্রিপটোফান ঘুমের মধ্যেই ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে।
তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পিনাট বাটার খেলেই কমবে ওজন। কলার সঙ্গে এই মাখন খেলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে এই দুই উপাদান আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়।
দুই
ঘুমের মধ্যে পেশি গঠনের জন্য দই খুব ভালো। রাতে এক বাটি দই খেলে দ্রুত হজম হয়। দইয়ে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে ওজন কমাতে এটি খুব কার্যকর। তবে মিষ্টি দই নয়, টক দই কিংবা গ্রিক ইয়োগার্ট খেলেই মিলবে সুফল।
ছানা
রাতে খাবার পরেও যদি খিদে পায় সে ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে ছানা খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিনে সমৃদ্ধ ছানা মানব দেহের পেশি সুগঠিত করতে সাহায্য করে। এটি বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং দ্রুত মেদ ঝরাতেও সিদ্ধহস্ত।
Leave a Reply