জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় রংপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গেল তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। হাড়কাঁপানো শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরও পাঁচ রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৪৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দগ্ধদের মধ্যে রংপুরের পীরগাছা এলাকার মোহাম্মদ (৬০) ও আলেয়া বেগম (৬৫) নামে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ইনচার্জ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহীন শাহ জানান, দগ্ধ হয়ে যেসব রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখানে রয়েছেন তাদের অধিকাংশ অসচেনতার কারণে দগ্ধ হয়েছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে ২-৪ জন করে আগুনে পোড়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। এদের বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
তিনি আরও জানান, জনবল সংকট ও চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতার কারণে এসব রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪ শয্যার এই বিভাগে তিনগুণ রোগীর খাদ্য সরবরাহেও রয়েছে নানা সংকট।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে রংপুরের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই অবস্থা আগামীকাল পর্যন্ত থাকবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply