জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করছি। নিজের ভাগ্য গড়তে নয়। যারা দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না, তারা পরাজিত শক্তির দোসর।
তিনি বলেন, বিএনপি ভোট করতে নয়, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়।
শুক্রবার বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এই ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশিক্ষিত মূর্খদের হাতে দেশ গেলে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হবে না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাস আসার পরে দেশে উন্নয়ন করেছি। ওই সময় খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বলেছিল ছাত্রদলই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। বিএনপি ছাত্রদের হাতে দিয়েছিল অস্ত্র, আমি দিয়েছি খাতা-কলম। ছাত্রদের বলেছিলাম তোমরা পড়াশোনা করে মানুষ হও। মূর্খদের হাতে দেশ গেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে, এদেশ উন্নয়ন অগ্রগতি হবে না।
২০০১ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের সময় আমাদের নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারেনি৷ তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র যেতে দেয়নি। দেশের মধ্যে তখন খালেদা জিয়া অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। স্কুল-কলেজে অস্ত্রের ঝনঝনানি সৃষ্টি করেছিল খালেদা জিয়া।
বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যারা চোখে দেখেন না, তাদের দশ টাকায় চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যারা চোখ থাকতেও সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না, তাদের উচিত দশ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করানো। আসলে তাদের মনের দরজায় অন্ধকার।
তিনি বলেন, যে পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাদের বদনাম দেওয়া হয়েছিল। একজন ব্যক্তিকে একটি ব্যাংকের এমডি পদে রাখার জন্য বিদেশি বড় একটা দেশ বারবার চাপ দিয়েছিল। তারপর আমাদের পদ্মা সেতুর জন্য টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা বলেছিলাম নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব, সেটা আমরা করেছি। বাংলাদেশ পারে, আমরাও পারি। বাংলাদেশ পারে সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছি চাইলে বাংলাদেশ পারে।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির কিছু নেতা বলছে পেনশন নাকি নির্বাচনি অর্থ সংগ্রহ করার জন্য। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না তাই অন্যেরটা দেখতে পারে না। আমি ছাত্রলীগকে বলব আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে, মানুষকে বলতে হবে পেনশনের টাকা খোয়া যাবে না। মানুষের ভবিষ্যতের জন্য এই পেনশন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও খালি না রাখার আহবান জানিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও খালি না রাখার যাবে না। যাদের জমি খালি আছে তাদেরকে গাছলাগানোর পরামর্শ দিতে হবে। অনাবাদি জমিতে চাষ করতে হবে। আমাদের খাদ্য যদি আমরা উৎপাদন করতে পারি তাহলে কারো দিকে তাকাতে হবে না। যুদ্ধের পরে খাদ্যভর্তি জাহাজ বাংলাদেশে আসতে দেয়নি। নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে অন্যের থেকে আনতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ১০০ বছরের জন্য ডেল্টা প্লান করেছি। ছাত্রলীগকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতি কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। ছাত্রলীগকে অতন্দ্রপহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে করে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ছাত্রলীগকে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই স্মার্ট বাংলাদেশ নতুন প্রজম্মের জন্য।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আফিস ইনানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিকসহ সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply