স্টাফ রিপোর্টার : ভূমি মালিকের আতঙ্ক ও ব্যাংকের অপ:তৎপরতায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী মোঃ আনিছুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভূইঘর মৌজার অন্তভূক্ত খতিয়ান নং-সি.এস-১৯৭/১, সি.এ-২৬৪, আর.এস-৪৭১, দাগ নং সি.এস ও এস. এ-৭৯২, আর.এস-৪০৫ সম্মলিত নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বিগত ১৭/০৫/২০২২ইং তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত হেবার ঘোষনাপত্র দলিল নং-৬০৫০ মূলে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর কাছ থেকে মোঃ আনিছুর রহমান ৯.৫০ শতাংশ ভূমিতে মালিকানা লাভ করেন। উক্ত ৯.৫০ শতাংশ ভূমিতে মালিক ও ভোগ দখলকার হয়ে ভূমিতে বিগত ০৫/১০/২০২২ইং তারিখে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এবং ২৩/০২/২০২৩ইং তারিখে টিনসেড ঘরসহ দোকান নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করিয়া ভাড়াটিয়া বসাইয়া ভাড়া আদায় করিয়া এবং বাড়ীর সম্মুখ অংশে দোকান ঘরে নিজে ব্যবসা পরিচালনা করি ও অন্য দোকান ঘর ভাড়া দিয়াছি এবং ভাড়াটিয়াদের নিকট হইতে মাসিক ভাড়া আদায় করিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করছি। বর্তমানে মোঃ আনিছুর রহমান ঋন পরিশোধ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনে তাহার মালিকানাধীন ভূইঘর মৌজার ৯.৫০ শতাংশ ভূমির বাড়িটি বিক্রয়ের জন্য জনৈক ব্যক্তির সহিত বায়নানামা দলিল মূলে বায়নায় আবদ্ধ হয়। এ সময় মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু তাহার চাচা মোঃ মহসিন মিয়াসহ আরও কিছু কুচক্রি মহলের লোক বেআইনি উপায়ে অবৈধ লাভের বশবতী হইয়া অপকৌশলে মিথ্যা মামলা সৃজন করিয়া মোঃ আনিছুর রহমান এর বাড়ী বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অপতৎপরতা চালায়। মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু তার চাচা শ্বশুর ভূইঘর এলাকায় জমি ক্রয় করিয়া উক্ত জমি একটি ব্যাংকের বন্ধক রাখিয়া পরবর্তীতে ব্যাংকে বন্ধককৃত জমি উক্ত ব্যাংকের জনৈক ব্যবস্থাপকের সহিত আতাত করিয়া বন্ধক অবমুক্ত না করিয়া অন্যত্র বিক্রয় করিয়া দিয়েছেন। এর ফলে মোঃ আনিছুর রহমান মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর চাচা শ্বশুর মোঃ মহসিন মিয়ার অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় উক্ত মোঃ মহসিন মিয়া, মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু ও একটি কুচক্রি মহলসহ মোঃ আনিছুর রহমান এর জমি বিক্রয়ের ষড়যন্ত্র আশ্রয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করিয়া জমি ক্রেতার মনে ভয়-ভীতি দিচ্ছে। উল্লেখ্য যে, মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু গত ১০/০৪/২০২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে দেওয়ানি মকদ্দমা নং-২২৯/২৩ দায়ের করে। বর্ণিত মকদ্দমায় মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু নিরক্ষর মর্মে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু মামলার আরজী দৃষ্টে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু যে, অক্ষর জ্ঞান সম্পূর্ন তাহা প্রতীয়মান হয়। মামালার আরজীর প্রতি পাতায় মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর স্বাক্ষর সম্মেলিত মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু যে, অক্ষর জ্ঞান সম্পূর্ন তাহা লুকায়বার হীন মানুষের মিথ্যা মামলায় বেআইনি ও অবৈধ লাভের আশা করিয়াছেন তাহা প্রতীয়মান। মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু জমি খরিদ করার জন্য ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা প্রয়োজন হইলে তার কাছে মাত্র ২২,০০,০০০/- (বাইশ লক্ষ) টাকা ছিলো। সেক্ষেত্রে মোঃ আনিছুর রহমান মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর পূর্বে পরিচিত হওয়ার কারনে তাহাদের মধ্যে পূর্বের লেনদেনের সম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় ১,৫৮,০০,০০০/- (এক কোটি আটান্ন লক্ষ) টাকা মোঃ আনিছুর রহমান মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু দেয়। মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু পরবর্তীতে টাকা না দিতে পারায় ২২,০০,০০০/- (বাইশ লক্ষ) টাকা মোঃ আনিছুর রহমানের কাছ থেকে নিয়ে বিগত ১৭/০৫/২০২২ইং তারিখে হেবার ঘোষনাপত্র দলিল নং-৬০৫০ মূলে রেজিষ্ট্রি করিয়া দিয়া নি:স্বর্তবান হন। উল্লেখ্য যে, এই দলিলের পূর্বেই ০৫/১০/২০২২ইং সালে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু মোঃ আনিছুর রহমানকে বর্ণিত জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করেন। দলিল করার সময় স্বাক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিলো মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর বোনের জামাই মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ আজিজুল হক ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ (চেয়ারম্যানের ভাই)।
মোঃ আনিছুর রহমান বর্ণিত সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বায়নাপত্রে আবদ্ধকালীন ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা মানবিক কারনে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনকে দেওয়া হয়। ঐ বায়নাপত্র দলিলে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু নিজেই একজন স্বাক্ষী হয় বটে উক্ত বর্ণিত জমি মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু তাহার মোঃ মহসিন মিয়াকে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর কাছে বিক্রয়ের পূর্বেই আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, দিলকুশা শাখায় মরগেজ রাখিয়া ছিলো। তাহা অবমুক্ত না করিয়া প্রতারনার আশ্রয় নিয়া মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর কাছে বিক্রয় করে। এরেই ধারাবাহিকতায় মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনু মোঃ আনিছুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করার পর বিষয়টি অবগত হইলে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর চাচা
মোঃ মহসিন মিয়া এর সুরাহ করতে বললে মোঃ মহসিন মিয়া বিভিন্ন সময়ে মোসাঃ হাসিনা পারভীন মিনুর বান্ধবী ও নিলুফার স্বামী ভূমি সচিব এবং পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান, মেয়র ব্যারিষ্টার তাপস ও বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মোঃ আনিছুর রহমান কে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি ভয়-ভীতি প্রদান করে আসছে। মোঃ আনিছুর রহমান বিগত ০১/০৪/২০২৩ইং তারিখে ফতুল্লা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন, যাহার ডায়েরী নং-১৪। মোঃ আনিছুর রহমান প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রাণের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ্যাড: মোঃ হারুনার রশিদ, এস. এম হানিফ আলীসহ নিকটতম আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply