জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্টের সঙ্গে আপস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি ও আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে। কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নাই। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিকালে সাভারের আমীন বাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে বিএনপি এখনো পথ হারিয়ে দিশেহারা। দিল্লি এবং নিউইয়র্কের দুই সেল্ফিতে বাজিমাত। এটা দেখে বিএনপি হতাশায় পড়ে গেছে। আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে। দিল্লি ও আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে। কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই। আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে শত্রুতা করে না, বন্ধুত্ব করে।
আগামী নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময় হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নাই। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে, ষড়যন্ত্র করলে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে লাল কার্ড দেখাবে দেশের মানুষ। দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী।
তিনি বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করলেও তার জন্য নেতাকর্মীরা একটি আন্দোলনও করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ আমেরিকার ভিসা নীতি পরোয়া করে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না। বিএনপি যতোই ষড়যন্ত্র করুক লাভ হবে না, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। কারো কাছে মাথানত করবে না আওয়ামী লীগ। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নিষেধাজ্ঞার হুমকি ধামকি শেষ। তাই ফখরুলের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মানবিক বলেই খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নিষ্ঠুর নয়। নিষ্ঠুর তারা, যারা ১৫ই আগস্ট হত্যাকারী কিংবা ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী। আওয়ামী লীগের ওপর বারবার হামলা হলেও বিএনপির ওপরে হামলার কোনো নজির নেই। কারণ আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতি করে না, সন্ত্রাসীর রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ হত্যার ষড়যন্ত্র পছন্দ করে না। কিন্তু বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসেননি। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম করে দেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া ইলেকশনের না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে। যে দলের সঙ্গে জনগণের সর্ম্পক নেই, সেই দলের হুমকিতে কিছু আসে যায় না। বিএনপির গত ডিসেম্বর আন্দোলন গরুর হাটে এবং কয়েকদিন আগে তাদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বুড়িগঙ্গায় ভেসে গেছে। তাদের আন্দোলন দাবি সবকিছুই ভুয়া।
তিনি বলেন, এদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। তাই জনগণকে শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখে। তাকে ছাড়া কাউকে দেশের মানুষ চায় না।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না ভয়ে। যাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের তো ভয় হবেই। বিএনপি আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে। খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ সরকার মামলা দেয়নি। খালেদা জিয়ার এই মামলার নিষ্পত্তি বিএনপির কারণেই হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি আবারো ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। বিএনপি ক্ষমতায় আবারো এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। বিএনপির নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেনো সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।
Leave a Reply