শামীম আহমেদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৪নং সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর উত্তরপাড়া ও বৌলেরপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব জাতীয়করণ ৪ জন ভুয়া শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে নিয়োগ প্রাপ্ত হয় নাই। যার স্মারক নং-৩৮.০১.৩২০০.০০০.৬৭.০০১.২৩-৩৮২, তাং-১৬/০২/২০২৩ইং।
জানা গেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ও বিধি সম্মত হয়েছে কি না এই মর্মে বিষ্ণুপুর উত্তরপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফরহাদ হোসেন ও জান্নাতুল ফেরদৌসী এবং বৌলেরপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথী আকতার ও শাহানারা খাতুন ২টি বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত ৪ জন সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রাদি নিয়ে স্ব-শরীরে ০১.০১.২০২৩ইং তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে হাজির হওয়ার জন্য পত্র মারফত নির্দেশ দেয়া হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আল এমরান খন্দকার গত ২৪/০১/২০২৩ইং তারিখে অভিযোগকারীকে বাদ দিয়েই তদন্ত কার্যসম্পন্ন করেন। অনেক সত্যতা প্রমানিত কাগজপত্রাদি দেওয়া স্বত্বেও তদন্ত প্রতিবেদনে আনয়ন করেন নাই। এতে দেখা যায় অভিযুক্ত ৪জন শিক্ষকেই সিল/স্বাক্ষর জালিয়াতি, বহিরাগত এলাকার বাসিন্দা ও তথ্য ফরমে গরমিলসহ নানা অনিয়ম/দুর্নীতির রহস্য বেড়িয়ে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে বিদ্যালয় ২টির ৪জন শিক্ষকই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে নিয়োগ প্রাপ্ত হন নাই।
এ ব্যাপারে ভুয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক অবদান, সাপ্তাহিক জয়ভিশন, দৈনিক আমাদের কন্ঠ, দৈনিক পরিবেশ, দৈনিক এশিয়াবানী ও বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় এমনকি ৭ই এপ্রিল ২০২৩ইং তারিখে এশিয়ান টিভিতেও ভুয়া শিক্ষকের খবর প্রকাশ হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকদের সাথে আতাত করে, এখন পর্যন্ত উক্ত ৪জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শিক্ষা অফিসার নিয়মিত ভাবে বেতন ভাতা প্রদান করছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি, ইহা স্বত্বেও শিক্ষা অফিসার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
Leave a Reply