জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে লোন নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন, জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস, নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী পল্লব দাস, রফিকুল ইসলাম খাঁন ও আলিফ হোসেন।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান জানান, চক্রটি একাধিক এনআইডি তৈরি করে ব্যাংকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি করতে চেয়েছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রটি নানাভাবে বোকা বানাতেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের। এই চক্রের মূল হোতা জয়নাল। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী পল্লব দাস এই চক্রের অন্যতম সদস্য।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাবেদ ইকবাল।
ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, জয়নাল ডিওএইচএসে ইআর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অফিস নিয়েছিল। মুলত একটি অফিসকে সাত ভাগে সাত নামে একই ঠিকানায় বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতেন। এ যাবৎ জয়নাল বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু তা ফেরত দেননি। আর এসব টাকায় তিনি তার বসুন্ধরা এলাকায় একটি সাত তলা বাড়ী, উত্তরায়, আশকোনাসহ আট থেকে নয়টি ফ্লাট ও মাদারীপুরে বাড়ি করেছে।
ডিবির কর্মকর্তা হারুন জানান, জয়নাল ভুয়া দলিল বানিয়ে জমির নামজারী করতেন। এরপর খাজনা কপি ভুয়া তৈরি করতেন তিনি। এজন্য তাকে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা সহায়তা করতেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুয়া জমির নামজারি খারিজকপি বিভিন্ন তারিখে সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় এনআইডি কার্ড, দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। জয়নাল একই নামে একই রকম সাত থেকে আটটি ভুয়া দলিল তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা দিতো।
হারুন আরও জানান, জয়নাল একটি প্রতিষ্ঠানের উপর একটি লোন নেওয়ার পরে পরবর্তীতে আবারও এনআইডি কার্ডের ছবি তারিখ পরিবর্তন করে জমির দলিল ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিতেন। অন্যকেও লোন করে দিতেন। এরপর সেই লোকদের কাছ থেকে লোনের পারসেন্ট নিতেন জয়নাল। একাধিক কার্যকরী এনআইডি তৈরি করে একই ফ্ল্যাট/জমি/বাড়ি দেখিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক হতে লোন নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠান এর কাগজ তৈরি করে ব্যাংক লোন নিয়ে থাকে।
Leave a Reply