জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির সাত এমপির মধ্যে পাঁচজনের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পদত্যাগ করা দলটির বাকি দুজন এমপির আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রবিবার দুপুরে বিএনপির সাত এমপির পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘তারা (বিএনপির এমপিরা) আমার কাছে সাতটা আবেদন জমা দিয়েছেন। যে পাঁচজন সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তাদেরটা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুইজনের আবেদন যাচাইবাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে বেলা ১২টার দিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা স্পিকারের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আর অস্ট্রেলিয়া থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির এমপিরা। তারা বলেন, সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতেই একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তারা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গেটে আসেন বিএনপির এমপিরা। সংসদ ভবনের সামনে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ পদত্যাগ। বর্তমান সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। বর্তমান সরকার এককভাবে সব আইন পাস করে। এ সংসদ অকার্যকর।’
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট থেকে আটজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিএনপির ছয়জন এবং গণফোরামের দুজন। বিএনপির ছয়জনের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন।
নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের আসনে উপনির্বাচন হয় এবং সেখানে বিএনপির আরেক প্রার্থী জয়ী হন। এরপর সংরক্ষিত আসন থেকে রুমিন ফারহানা এমপি হলে বিএনপির সংসদ সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে।
Leave a Reply