জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: মদপানের পর বিল চাওয়ায় বার ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত পাওয়া গেছে। তিনি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুলতান। তবে বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে মহাখালীর জাকারিয়া বারে মদপানের পর টাকা না দিয়ে উল্টো ভাংচুর করে কয়েক লাখ টাকা ও শতাধিক মদের বোতলসহ বিভিন্ন জিনিস লুট করার অভিযোগ ওঠে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বার কর্তৃপক্ষ ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০ জনের নামে বনানী মডেল থানায় মামলা করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার পর পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালায়। পৃথক অভিযানে আজ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে মামলার দুই নম্বর আসামী সুলতান রয়েছেন। তিনি কলেজ ছাত্রলীগের একজন সহ-সভাপতি ও ২০০৮-০৯ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
বারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার আনুমানিক রাত এগারোটার দিকে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ওই বারে মদ পান করার জন্য যান। মদ পান শেষে বিল দেয়ার কথা বললে তারা বারের ম্যানেজারসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর হামলা করে।
এক পর্যায়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন বার ম্যানেজার। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লকে ফোনে জানালে হল থেকে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পাঠানো হয়। তারা বারের গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ওই বারের কর্মচারী উজ্জল মিয়া গণমাধ্যমে জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমাদের বারে এসে হামলা করে। ক্যাশ ভেঙে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান তারা। এ সময় ৭৫ ইঞ্চি একটি টিভি, ২০ থেকে ২৫টি চেয়ার ভাঙচুর করে। বারে থাকা প্রায় চার লাখ টাকার ৪০ বোতল ফরেন হুইস্কি লুট করে নিয়ে যায়। এরপর আরও প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ৮০ বোতল কেরুর মদ লুট করে।
বার কর্তৃপক্ষ জানায়, ভাঙচুর এবং লুটপাটে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ ওঠে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন রাহুল, সুলতান ও শাওন, সহ-সম্পাদক শাওন ও সাব্বির, উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নিলয় সেন, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মামুন এবং কর্মী কাউসার ও শাহিন মাতব্বরসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘটনার দায় মানতে নারাজ তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া। তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বহিরাগত। এই দায় সংগঠন নেবে না।
Leave a Reply