মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বান্দরবান সদর উপজেলার ভাগ্যকুল গয়াল মারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ পুরাতন মসজিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামাজ পড়েন মুসল্লীরা। মসজিদটি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার ও মেরামত করা হলেও এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ পুনঃনির্মাণের দাবি করে আসছেন। কিন্তুু অদৃশ্য কারণে
যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ভুলভাবে উপস্থাপন করায় থমকে আছে পুনঃনির্মাণের প্রক্রিয়া।
বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকুল গয়াল মারা ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত গয়াল মারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, ভগ্নপ্রায় এই ১৭ বছরে পুরনো মসজিদটি। বর্তমানে মসজিদটি বেশ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ইতোমধ্যে মসজিদের বেশ কয়েকটি গাছের ও বাঁশের খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দরজা জানালার আর এস বিএস কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কয়েকটি সিলিং পাখা থাকলেও সেগুলো বাতাস দেওয়ার ক্ষমতা অনেক পুর্বে হারিয়েছে, মাঝে মাঝে কয়েকটি প্লাস্টিকের খাসায় বন্ধি ছোট ছোট ফ্যান দেখা গেলেও সেই ফ্যানের নিচে একজন বসলে পাশের জনের গায়ে বাতাস লাগার কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জুমার নামাজে ৫টি গ্রামের ২শতাধিক মানুষের নামাজ আদায় করতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়, অর্ধেক লোককে মসজিদের বাইরে খোলামেলা জায়গায় রোদের গরমে নামাজ আদায় করতে হয়। ভিতরে প্রশস্ততা কম থাকার কারণে মাত্র কয়েক কাতারেই নামায আদায় করতে হয়। ফলে অনেক মুসল্লীদেরই নামাজের জায়গার সংকুলান হয়না। মসজিদটি পুনঃসংস্কার করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় মসজিদটির নিয়মিত মুসল্লী ও মসজিদ পরিচালা কমিটির সভাপতি মোঃ কালা মিয়া সরদার (৭৫) সাথে। তিনি বলেন, আল্লাহর ঘরে মানুষ নামাজে আসবে নির্ভয়ে। কিন্তু মসজিদ ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে অনেকেই আসতে চায়না। আমাদের এলাকায় অসহায় নিম্ম আয়ের ও খেটে-খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি, এক কথায় গরীব এলাকা,আমরা এই মসজিদটি প্রথমে নেট দিয়ে ঘেরাও করে উপরে প্লাস্টিকের তেরপল দিয়ে নামাজ শুরু করেছিলাম, এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাঁশ গাছ টিন দিয়ে সংস্কার করে এতদিন পর্যন্ত চলে আসছে।
এসসময় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি,সেক্রেটারি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জামাল হোসেন,বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ রমজান আলী, মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা মোঃ আলাউদ্দিন’সহ স্থানীয় মুসল্লীগণ বলেন, সম্প্রতির আধুনিক বান্দরবানের রুপকার, বান্দরবান ৩০০ নং আসনের ছয় ছয় বারের বিজয়ী নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, তিনি সম্প্রতির পার্বত্য চট্টগ্রামে মসজিদ,মন্দির,ক্যায়াং, বোদ্ধ অনাথাশ্রম,গীর্যাসহ প্রতিটি ধর্মের প্রার্থনালয় কাঁচা থেকে পাকা ও উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের অহংকার আমাদের অভিভাবক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয় আমাদের মসজিদ পুনঃনির্মাণে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা ৫গ্রামের প্রায় চার শতাধিক মানুষ মন্ত্রী মহোদয়ের আকুল আবেদন নিবেদন করছি।
Leave a Reply