জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বাজেটের আগে তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে ইতোমধ্যে একটি মূল্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত জ্বালানি বিষয়ক এক সেমিনার শেষে তিনি একথা বলেন। ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তারসহ প্রমুখ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
নসরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাইস মেকানিজমের দিকে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে। তেল গ্যাসের দাম নির্ধারণে পলিসি তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু দাম বাড়বে না, যদি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে; তাহলে দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দেশের বাজারেও দাম কমানো হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খুব দ্রুত শিল্পে গ্যাস সংকট কাটানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সবসময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস থাকবে। প্রয়োজন হলে পলিসি পরিবর্তন করে পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করবে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘অনেক বড় বড় কারখানা রয়েছে যারা একটা গ্যাস লাইনের অনুমোদন নিয়েছে। আবার তাদের কারখানায় আরও একটি অবৈধ বাইপাস লাইন করে গ্যাস নিচ্ছেন। তাদের এ অনৈতিক কাজের কারণে অন্যরা গ্যাস পাচ্ছে না। আমরা এই অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাই। তবে আমরা চাই কারখানা হোক। শিল্প গড়ে উঠলে অর্থনীতি বড় হবে।’
‘বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস লাগবে। একটি গ্যাসকূপ খনন সময় সাপেক্ষ, এখানে প্রতিটি কূপ সার্ভে করতে ৯ থেকে ২১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হয়। এমন ১০টি কূপের মধ্যে ৩ থেকে ৪টি কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে অনেক অর্থ চলে যায়। এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। প্রথমদিকে দেশীয় গ্যাসের কোনো মূল্য দেওয়া হতো না, কিন্তু এখানেও বড় খরচ হয়। আমরা আসার পর একটি মিনিমাম দাম নির্ধারণ করে দেই।’
Leave a Reply