জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের মানুষ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। তাই আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়। এটাই আমাদের দাবি।
শনিবার রংপুর জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে তারুণ্যের রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ শুরু হয়েছে। আজ বিকালে দিনাজপুরে গিয়ে এই রোডমার্চ শেষ হবে। রবিবার সকাল ৯টায় বগুড়া শহরের চার রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে রাজশাহীতে শেষ হবে দিনের রোডমার্চ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার বলছে তাদের অধীনে আগে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এবারও সুষ্ঠু হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। ২০১৪ সালে দেখেছি, ২০১৮ সালেও দেখেছি।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ- অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, এই সংসদ ভেঙে দিন, দলীয় লোক দিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত করুন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আদালতে গেলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জামিন দেওয়া হয় না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের এক দফা দাবি যদি মেনে না নেয়া হলে লাখ লাখ তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দাবি আদায় করব।
তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে যদি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন করতে পারি এবং জনগণের ভোটে সেই নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারি, তাহলে আন্দোলনরত দলগুলোকে নিয়ে আমরা একটি জাতীয় সরকার গঠন করব।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারাদেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। এ সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরে যাব না।
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
Leave a Reply