জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: নিজের প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন করে মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে এক স্কুল সহপাঠীর শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং জীবনবৃত্তান্ত কৌশলে সংগ্রহ করে সেখানে নিজের ছবি যুক্ত করে নেন মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫)।
নিজেকে জাহাঙ্গীর আলম পরিচয় দিয়ে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের অফিসার (সেলস এন্ড বিপনন) পদে নিয়োগও পান হেলাল। পরে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যান। বুধবার (৭ জুন) রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে প্রতারক মো. হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে এই তথ্য জানান পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) আবু ইউসুফ। তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের ৯ মে পর্যন্ত তানজিম প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং কোম্পানিতে অফিসার (বিক্রয় ও বিপনন) পদে কর্মরত ছিলেন মো. হেলাল উদ্দিন। কোম্পানিটিতে নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং জীবনবৃত্তান্তে মো. হেলাল উদ্দিন তার নিজের ছবি যুক্ত করে চাকরির নিয়োগ পান।
জাহাঙ্গীর আলমের নাম ধারণ করেই কোম্পানিটিতে কাজ করে আসছিলেন। চাকরিতে থাকা অবস্থায় হেলাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে মোট ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে অফিসে জমা দেননি। সেই টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তানজিম প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ২০২১ সালেই মামলা করেন।
মামলার তদন্তের বিষয়ে পিবিআই জানায়, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখা যায়, যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং হেলাল উদ্দিনের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। তিনি বর্তমানে ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি করছেন। তারা পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করার সুবাদে কৌশলে মো. হেলাল উদ্দিন তার বন্ধু মো. জাহাঙ্গীর আলমের অজ্ঞাতে তার শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ, ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র ও জীবনবৃত্তান্তের ফটোকপি সংগ্রহ করে রাখেন। সেই কাগজ দিয়ে প্রথমে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লি. কোম্পানিতে এবং পরে তানজিম প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি. কোম্পানিসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে আসছিল।
আসামির বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a Reply