জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুর-৩ ( সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ.কে আজাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন । তার সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি। সেই স্বপ্ন পূরণে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুর শহরের কবি জসীম উদ্দীন হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা , শহীদ ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান করেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য আরও বলেন, সারা দেশের মতো ফরিদপুরেও মানসম্মত শিক্ষার অভাব রয়েছে। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষিত তরুণ তরুণীরা চাকরির বাজারে মেধার দৌড়ে টিকতে পারছে না। স্কুলগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য যা কিছু প্রয়োজন আমি সহযোগিতা করব।
দেশে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া এবং মেয়েদের বাল্য বিয়ে হয়ে যাওয়া আশঙ্কা জনক হওয়ায় এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অভিভাবকদের আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান এ.কে আজাদ।
ফরিদপুরের শিক্ষা ও সংস্কৃতির মান আগের থেকে অনেক নেমে গেছে মন্তব্য করে এ.কে আজাদ বলেন, একসময় ফরিদপুরের অডিটোরিয়ামগুলোতে নিয়মিত নাটক হত, সংগীত ও নৃত্যের চর্চা হতো, এখন জেলা প্রশাসন নিজ দায়িত্বে যে সব অনুষ্ঠান করছে সেটাই এই অঙ্গনকে আজকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এর বাইরে ফরিদপুর একটি মৃত শহর।
সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া একটি জনপদ কখনো সম্মানের সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে না, এখানে মেধার বিকাশও সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন, তাদের সে স্বপ্ন এখনও আমরা পূরণ করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে সপরিবারে শাহাদাত বরণ করেছেন। এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমরা বিফল হতে দিতে পারি না।
Leave a Reply