অনলাইন ডেস্ক : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দেওখোলা বাজারস্থ মসজিদ মার্কেটের সুজন বস্ত্রালয়ের সামনে শুভ হত্যা মামলার ছয় আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুল ইসলামের আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ছয় আসামি হলেন- যথাক্রমে জয়নাল আবেদীন (১ নং), ফারুক (২ নং), আরিফ (৩ নং), সাদ্দাম হোসেন (৮নং), শাহজাহান (৯ নং) ও মাহির মিশু (১২ নং)।
গত ১৩ মে রাত ১০টার দিকে স্থানীয় এনামুর রহমান রবি (৪৫) সজল (২৫) হৃদয় (৩০) ও আক্তার উল আলম শুভকে (৩১)দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর মধ্যে শুভর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। স্বজনরা তাকে ভতি করান ধানমন্ডির আনোয়ারা খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কিন্তু সেখানেও শুভর অবস্থার অবনতি হলে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে লাইফ সার্পোটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টায় চিকিৎসকরা শুভকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, হামলার ঘটনার পরদিন গত ১৪ মে কে এম আতাউর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ১৫ মে অভিযোগটি আমলে নেন ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
এরপর গত ২৬ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন ছয় আসামি জয়নাল আবেদীন, ফারুক, আরিফ, সাদ্দাম হোসেন, শাহজাহান ও মাহির মিশু। সেই জামিন শেষ হওয়ার আগেই তাদের ময়মনসিংহ বিচারাধীন আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার আসামিরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দিলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। সে সময় নৌকার পক্ষে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফুলবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুর রহমান রবির উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মালেক সরকার।
অভিযোগ, সেই বিরোধের জের ধরেই গত ১৩ মে রাতে ফুলবাড়ীয়ার সংসদ সদস্যের মদদপুষ্ঠ জয়নাল আবেদীন ও তার দলের লোকজন শুভ, সজল ও হৃদয়দের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
Leave a Reply