অনলাইন ডেস্ক : বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপের জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীমের সই করা যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত থাকায় সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে (ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর) ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
রবিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে পিএসসির ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁসে জড়িত। তারা একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। যেখানে আছেন আরও ১০ থেকে ১১ জন। অভিযুক্ত কর্মচারীদের একজন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। তার ছেলে সোহানুর রহমান সোহান।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী একজন ড্রাইভার হলেও তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন মানুষ। কুয়াকাটার সৈকতে তার নামাজ পড়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে সবাই তাকে নিন্দা জানাচ্ছেন। ছাত্রলীগ নেতা সোহানকে বিলাসী জীবন-যাপন করতে দেখা গেছে। তিনি সমাজসেবামূলক কাজও করেন।
প্রশ্নফাঁসকারী চক্রটি গত ৫ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির তথ্য ফাঁস করতে ছদ্মবেশ ধারণ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিম। ছদ্মবেশী এক নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থীকে তুলে দেওয়া হয় চক্রের সদস্যদের হাতে। ৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত যে প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, হোয়াটসঅ্যাপে তার একটা কপি পাঠানো হয় পরীক্ষার অন্তত এক ঘণ্টা আগে। আর এতেই জ্বলজ্যান্ত ফেঁসে যায় চক্রটি।
জানা গেছে, ২ কোটি টাকার বিনিময়ে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করা হয়।
বিষয়টি নজরে আসার পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে সিআইডি। এখন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a Reply