জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে করবো; বহিঃর্বিশ্বের সবাই দেখুক’, নির্বাচন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি জানাতে কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ের আগে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রায় ৬০০ অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে সিইসি জানান, এখন পর্যন্ত ইসি প্রায় ৪০০ অভিযোগে পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের পর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সুষমা হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘মিডিয়া সেন্টার’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি জানান, ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৮ লাখ ভোটসংশ্লিষ্ট কর্মকতা, ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য সহ ১ লাখ স্ট্যান্ড বাই জনবল নিয়োজিত থাকবে। সবাই মিলে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে বিদেশি যে মান্যবররা এসেছেন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কারণ তারা বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তারা বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশনের অফিসে এসেছেন, মত বিনিময় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা যে মতবিনিময় করেছেন তার মধ্যে সকলেরই একটা প্রত্যাশা ও চাওয়া ছিল; সেটা হল আগামী নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ দেখতে চায়। এটাকে তারা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকের মতবিনময় সভায় নির্বাচন কমিশন থেকে খুব সংক্ষিপ্ত একটা স্টেস্টমেন্ট ডিগ-আউট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা কোন অবস্থানে আছি সেটা তারা শুনেছেন। যেহেতু ইংরেজিতে স্টেটমেন্ট করা হয়েছে, তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। পরে টিবিসির মাধ্যমে কিছু তথ্যচিত্র বাংলায় তুলে ধরা হয়েছে। ছবি দেখে তারা বুঝেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারা দু’চারটা প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন— অভিযোগ কী পরিমাণ পাচ্ছি। আমরা তাদেরকে বুঝিয়েছি, জানিয়েছি যে অভিযোগ বিভিন্নরকম হতে পারে। ছোট-খাটো যেগুলো উপেক্ষণীয়। কেউ কারো পোস্টার ছিঁড়েছে, কিন্তু উল্লেখযোগ্য যে অভিযোগ সেগুলোর একটা তালিকা আমাদের কাছে ছিল।
তিনি বলেন, এপর্যন্ত আমরা প্রায় ৬০০ অভিযোগ পেয়েছি এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ অভিযোগে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সংশ্লিষ্টদের ডেকে তা জানানো হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আরেকটা প্রশ্ন তারা করেছিলেন, সরকার বা নির্বাচন কমিশন থেকে তাদেরকে ভোট দিতে যেতে ভোটারদেরকে কোন প্রকার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কিনা। আমরা বলেছি, চাপ সৃষ্টির কোন কারণই নাই। তবে আমাদের দায়িত্বের অংশ যখনই নির্বাচন করি তখনই ভোটার সাধারণের কাছে একটা আবেদন রাখি যেটা আমাদের দায়িত্বের অংশ। তা হল আপনারা ভোট কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটা কোনো চাপ নয়, এটা অ্যাওয়ারনেস বা সচেতনতা। আর চাপের কথা বললে একটা দিক থেকে আছে, সেটা হল একটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। তিনি বলেন, বর্জনটা যদি বর্জনের জায়গায় থাকে কিন্তু ওখান থেকে পরে যদি তারা ভোটারদের এক প্রকার ভীতি দেখিয়ে বলে আপনারা যাবেনই না। তাহলে বরং একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে, এটা আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। এছাড়া নির্বাচন সম্পর্কিত মৌলিক কিছু তথ্য তাদেরকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোট দিতে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে না। আগত অতিথিদের জানিয়েছি ভোটারদের ভোট দিতে কোনো চাপ দেওয়া হচ্ছে না, বরং ভোট দিতে আসার জন্য বোঝানো হচ্ছে। এছাড়াও গেছে মাসে আমরা একটি অ্যাপ চালু করেছি। দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সেটি সহায়ক হবে। স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট নামে অ্যাপটি চালু করা হয়েছে ২৪ ঘন্টা নানা ধরনের তথ্যপ্রযুক্তিমূলক সেবা প্রদানের জন্য।
Leave a Reply