জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে নাগরিকদের কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর। বলেন, ‘আমাদের সার্ভার সুরক্ষিত আছে।’
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এনআইডি ডিজি বলেন, ‘তবে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান এনআইডি সার্ভার থেকে সেবা নেয়। তাদের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করে সেই প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে তাদের সার্ভিস বন্ধের পাশাপাশি চুক্তিও বাতিল করা হবে।’
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে খবর দেয় প্রযুক্তিবিষয়ক খ্যাতনামা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ। এসব তথ্যের মধ্যে নাগরিকের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে।
গত ২৭ জুন এই তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস ঘটনাক্রমে আবিষ্কার করেন বলে ৭ জুলাই রাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেকক্রাঞ্চ।
‘বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ওয়েবসাইট লিকস সিটিজেনস পারসোনাল ডাটা শিরোনামের প্রতিবেদনে টেকক্রাঞ্চ বলেছে, ফাঁসের বিষয়টি আবিষ্কারের পর বাংলাদেশি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগ করেন মার্কোপোলোস। তিনি জানান, ফাঁসের মধ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো বৈধ কি না তা টেকক্রাঞ্চ একটি পাবলিক সার্চ টুলের মাধ্যমে যাচাই করছে। তবে টেকক্রাঞ্চ সরকারি ওয়েবসাইটটির নাম জানায়নি। কেননা তথ্যগুলো এখনও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
টেকক্রাঞ্চ জানায়, অন্য কাজ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবেই এই ফাঁসের বিষয় ধরতে পারেন মার্কোপোলোস। তিনি বলেছেন, ডাটাগুলো পাওয়া খুব সহজ ছিল। তবে এটি খোঁজার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। এটা শুধু একটি গুগল সার্চের ফলাফল হিসেবে পেয়েছি। আমি গুগলে এসকিউএল ত্রুটি নিয়ে কাজ করার সময় এই তথ্যগুলো পেয়ে যাই।
বাংলাদেশে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতিটি নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, যা প্রত্যেক নাগরিককে একটি অনন্য পরিচয়পত্র প্রদান করে। কার্ডটি বাধ্যতামূলক এবং নাগরিকদের বিভিন্ন পরিষেবাতে অ্যাক্সেস দেয়, যেমন একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি কেনা-বেচা, একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অন্যান্য।
রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এ সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণে যে কেউ ব্যক্তিগত তথ্য দেখার সুযোগ পেয়ে যান, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।’
এদিকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়ে আগামীকাল বৈঠক ডেকেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
Leave a Reply