জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করতে বিদেশে যাননি, তিনি গিয়েছেন দেশের উন্নয়নের উচ্চতা বাড়াতে।
সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে মে দিবসের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক লীগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ গিয়েছেন দেশের উন্নয়নের জন্য বাজেট আনতে। এই সফরের গুরুত্ব যারা বুঝবে না, তারাই শেখ হাসিনার বিদেশ সফর নিয়ে তার সম্পর্কে কটাক্ষ করে। শেখ হাসিনার দেশ বিক্রি করতে বিদেশে যাননি, গিয়েছেন দেশের উন্নয়নের উচ্চতা বাড়াতে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ছে, এসব দাম কমাতে বিদেশে গিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তাদের আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হয়ে গিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক নিজেই ভুল স্বীকার করে তারা নিজেরাই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শেখ হাসিনার সবসময়ের চান বাংলাদেশ ভালো থাকুক। কখনো দেশ সংকটে না পড়ুক এটা তিনি চান না। দেশের মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করছেন।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু, টানেল, বিদ্যুৎ, মেট্টোরেলসহ আওয়ামী লীগের উন্নয়নে বিএনপি হিংসার আগুনে জ্বলে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রগতি দেখে বিএনপির ভালো লাগে না, সহ্য হয় না। মানুষ শান্তিতে থাকলে বিএনপির মনে কষ্ট হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির ঐক্য ও জোট গঠনের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির ৫৪দল, ১২ দল নিয়ে ১০ দফা, ২০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ পদযাত্রায় কোনো কাজ হয়নি। তাদের আন্দোলন ও জোট গঠন থেমে গেছে। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। পদযাত্রা নামে শেষ যাত্রা করেছে বিএনপি। বিএনপির সকল জোট আন্দোলন, দফা, সবই ভুয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে গেছে। আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনে আসলেও পরাজিত হবে। এই ভয় তাদের মধ্যে জেকে বসেছে। বিএনপি রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে এখন দেশের অর্থনীতিকে পরাজিত করার টার্গেটে নেমেছে। বিএনপি মাগুরা মার্কা ও প্রহসনের নির্বাচনে এদেশের মানুষ আর ফিরে যাবে না। এদেশের মানুষ অর্থপাচারকারীর তারেক রহমানদের হাতে দেশের ক্ষমতা তুলে দেবে না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। ভালো আচরণ না করলে এদেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবে।
জনপ্রিয়তা নেই এমন কাউকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে না উল্লেখ করে দলের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। অর্থ পাচারকারী লুণ্ঠনকারী, বির্তকিত লোকের আওয়ামী লীগে স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পতাকা সমুন্নত রাখা হবে। এজন্য সকলে নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। এখন থেকেই মাঠে থাকতে হবে নেতাকর্মীদের।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হয়ে যেতে বলেন এবং তাদের দুজনের হাত মিলিয়ে দেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
Leave a Reply