জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রচলিত আইনগুলোর মধ্যে যেখানে ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ ও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত আছে, সেসব আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব আইনের তালিকা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন।
জনস্বার্থে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবীর আনা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম সৈকত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
রুলে দেশের প্রচলিত আইন থেকে ‘পাকিস্তান’, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান‘ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান‘ শব্দগুলো বাদ দিয়ে সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়েছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে একটি তালিকা দাখিল করতে বলা বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, দেশ স্বাধীনের পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট এ পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়। এরপর কিছু আইনে বাদ দেয়া হয়।
তবে এখনও অনেক আইনে ওই শব্দগুলো রয়েছে। যেমন- দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।
Leave a Reply